ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ রহিমের (সিআইপি) বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে শ্রীমঙ্গল থানায় এ মামলা দায়ের করেন মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন।
শ্রীমঙ্গল থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনের আগে ১৭ অক্টোবর উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের মেরী গোল্ড সিএনজি ফিলিং স্টেশন পেট্রল পাম্পে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্দুর রহিম শহিদ ও মৌলভীবাজার কুসুমবাগ শপিং সিটির মালিক বাবুল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১০/১৫ জন সদস্যদের মধ্যে টাকাভর্তি খাম সদৃশ বস্তু বিতরণ করেন মর্মে নির্বাচন কমিশনে বিজয়ী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার সমন্বয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটি সরেজমিনে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে ও বিভিন্নভাবে প্রাপ্ত সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এম এ রহিম শহিদ ভোটারদের মাঝে উপঢৌকন ও বখশিশ বিতরণ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ফলে তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬ এর ১৭ (গ) বিধি ভঙ্গ করার অপরাধে শ্রীমঙ্গল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুস ছালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ রহিম শহিদ সিআইপি জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে একজন প্রার্থী সাড়ে ৫ লাখ টাকা নির্বাচনে কর্মী ও বুথের খরচ বিতরণ করতে পারেন।
ওই দিন তিনি তার কর্মীদের ওই খরচই দিয়েছিলেন বলে জানান। এ ব্যাপার তিনি আরও জানান, নির্বাচনের দিন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মিছবাহুর রহমান প্রভাব খাটিয়ে প্রতিটি সেন্টারে বুথের পরিবর্তে টেবিলের উপর প্রকাশ্যে ভোট কাষ্ট করান।
এ ব্যাপারে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিলেও কোন সহযোগিতা পাননি বলে জানান। তিনি এ নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানান।