বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম বখত সহ উপজেলা কমিটির বিভিন্ন পদের ৩২ জন নেতাকর্মী একই সাথে পতদ্যাগ করেছেন। রোববার বিকালে নেতাকর্মীদের স্বাক্ষরিত পদত্যাগ পত্র জেলা সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দেয়া হয়।
পদত্যাগ পত্র থেকে জানা যায়, উপজেলা কমিটির ১ম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদকের অকাল মৃত্যুতে শূন্য পদে উপজেলা সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরীকে জেলা সভাপতির নির্দেশে অগঠনতান্ত্রিকভাবে বিগত ২৫ আগষ্ট ১ম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক করা হয়। আবার ২২ সেপ্টেম্বর একই ব্যক্তিকে জেলা সভাপতির নির্দেশে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বক দেয়া হয়। এমতাবস্থায় ১৩ অক্টোবর দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এনামুল হক চৌধুরীকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ৮ দিন পর আবার সভাপতির নির্দেশে ফের এনামুল হক চৌধুরীকে দলে পূনর্বহাল করা হয়। এ সকল গঠনতন্ত্র বিরুধী কার্যক্রমে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তুষ্ট হয়। যার কারণে উপজেলা কমিটির বিভিন্ন পদের ৩২ জন নেতাকর্মী পদত্যাগ করেন।
পদত্যাগকারী রাজনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম বখস বলেন, জেলা সভাপতি আমাদের সাথে কোনো প্রকার পরামর্শ ছাড়াই একই ব্যক্তিকে নিয়ে বার বার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে উনার বাড়িতে সভা করেন কিন্তু আমরা জানি না। এভাবে একাধিক বিষয়ে তিনি গঠনতন্ত্র বিরুধী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। যা দলের জন্য কোনোভাবেই কাম্যনয়। যার কারণে আমরা দল থেকে পদত্যাগ করেছি।
রাজনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি জিতু মিয়া বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নয়। এনামুল হক চৌধুরীকে নিয়ে সভাপতি যে কান্ড করেছেন এটা কি গঠনতন্ত্রের সাথে সাংঘর্ষিক নয়? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সভাপতির সিদ্ধান্তের উপরে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান পদত্যাগ পত্র গ্রহণের কথা স্বীকার করে বলেন, এনামুল হক চৌধুরীকে এক পদ থেকে অন্য পদে নেয়া বা বহিষ্কার করার বিষয়ে আমি অবগত নয়। এটা সভাপতি একক সিদ্ধান্তে করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান বলেন, এনামুল হক চৌধুরীকে একবার পদোন্নতি দিয়ে ছিলাম। কিন্তু কিছু লোক না মানায় ফের তাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করি। ভুল করেছিল তাকে মাফ করে দিয়েছি। এটা পদত্যাগ কারীরা মেনে নিতে পারছে না। পদত্যাগকারী ৩ জন ব্যতীত বাকী সবার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। তারা আমার সাথে দেখা করতে চায়। উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম বখস গুটি কয়েক লোকের কাছে জিম্মি। সর্বশেষ তিনি বলেন এটা নিউজ করার কোনো বিষয় নয়।