ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ছিকরাইল গ্রামে একই রাতে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ২ সহোদর বোনকে নিয়ে উদাও হয়েছেন একই গ্রামের রিমন মিয়া ও পাবেল মিয়া। উদাওয়ের ৫৫ দিন হলেও এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান মেলেনি। রিমন ও পাবেল মেয়ের সম্পর্কে মামা। এ নিয়ে এলাকায় কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে মেয়ের মা চাম্পা বেগম ১৮ আগষ্ট মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ২৪ আগষ্ট মৌলভীবাজার পিবিআইকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।
অপহরণকারীরা হলেন, সদর উপজেলার ছিকরাইল গ্রামের হেলিম মিয়া’র ছেলে মোঃ রিমন মিয়া ও জামাল মিয়া’র ছেলে পাবেল মিয়া। রিমন মেয়ের মা চাম্পা বেগমের আপন চাচাতো ভাই এবং পাবেল রিমনের ফুফাতো ভাই।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, চাম্পা বেগমের বড় মেয়ে সদর উপজেলার ভাউরভাগ জমির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে এবং ছোট মেয়ে সপ্তম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। রিমন বড় বোনকে ও পাবেল ছোট বোনকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক খোজাখুজি করেও এ সংবাদ লেখাপর্যন্ত তাদের সন্ধ্যান পায়নি মেয়ের পরিবার।
অভিযোগকারী চাম্পা বেগম বলেন, “আমার স্বামী বাজারে চলে যাওয়ার সুযোগে অপহরণকারীরা তাদের দলবল নিয়ে রাত ৮টার দিকে ঘরে ডুকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় আমি বাধা দিলে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়।
ইউপি সদস্য গৌছ মিয়া বলেন, পূর্ব প্রেম ঘটিত কারণে একে অপরের সাথে চলে যায়। তবে এভাবে স্কুল পড়–য়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুই বোনকে এক সাথে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। এঘটনায় এলাকায় নৈতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন মৌলভীবাজার কার্যালয়ের এসআই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাসানোজ্জামান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রেম ঘটিত কারণে দুই বোন চলে গেছে। তবে এভাবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক দুই বোনকে এক সাথে নিয়ে যাওয়া ঠিক হয়নি। আমরা শীঘ্রই আদালতে প্রতিবেদন পাঠাবো।