বিশেষ প্রতিনিধিঃ ২৫০ শয্যা মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের গাড়ির গ্যারেজের সামনের ৫টি গর্জন গাছ গোপনে কেটে নিয়েছে ঠিকাদার সৈয়দ মুজিবুর রহমানের লোকজন। কোনো প্রকার সরকারি অনুমতি ব্যতীত ২৪ আগষ্ট দিনে-দুপুরে এ গাছ গুলো কেটে নেয়। পরে শ্রমিকরা ওই দিন রাতে গোপনে গাছ গুলো অন্যত্র সরিয়ে নেয়। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানার পর গণপূর্ত বিভাগকে অবগত করলে ঠিকাদারের লোকজন গাছ গুলো হাসপাতালে এনে রেখে দেন।
গণপূর্ত বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গণপূর্ত বিভাগের অধিনে ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের গাড়ির গ্যারেজের কাজ পান ঠিকাদার সৈয়দ মুজিবুর রহমান। তার ওই কাজ দেখাশোনা করছে বদরুল নামের একজন লোক। বদরুল বন বিভাগ, গণপূর্ত কিংবা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে ২৪ আগষ্ট দিনে-দুপুরে হাসপাতালের ৫টি গর্জন গাছ শ্রমিক দিয়ে কেটে নেন।
এবিষয়ে বদরুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সহজে গাড়ি রাখার জন্য এবং গ্যারেজের সামন পরিস্কার করতে গাছ গুলো কেটেছি। পরবর্তীতে গণপূর্ত বিভাগের এসও ফজলার রহমান সাহেব ফোন দিয়ে গাছ গুলো হাসপাতালে ফেরত নিয়ে আসতে বললে সাথে সাথে এনে রেখে দেই।
ঠিকাদার সৈয়দ মুজিবুর রহমান বলেন, “বদরুল আমার কাজ করতো। কিন্তু আমার সাথে কোনো পরামর্শ ছাড়া সে ওই গাছ গুলো কেটেছে। ১দিন পরে হাসপাতাল থেকে গাছ কাটার বিষয় আমি জানতে পেরেছি।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ পার্থ সারতি পাল কানোনগ বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি জানার সাথে সাথেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি এবং গাছ গুলো জব্দ করি। প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়ার জন্য গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে লিখিত ভাবে অবগত করেছি।
মৌলভীবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুমিনুল হক বলেন, ঠিকাদার সৈয়দ মুজিবুর রহমান আমাদের সাথে কোনো প্রকার পরামর্শ ছাড়া গাছ কেটেছেন। এটা সম্পূর্ণ অন্যায় করেছেন। এক্ষেত্রে কি প্রদক্ষেপ নেয়া যায় এ নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা সহকারী বন কর্মকর্তা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।