ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
“মৌলভীবাজারে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজের গাছ কাটার অভিযোগ” শিরোনামে গত ১৩ জুন মৌলভীবাজার প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর থেকে ঘটনা ধামাচাপা দিতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন অধ্যক্ষ। সর্বশেষ শুক্রবার ভোরে গাছের মোড়া তার নির্দেশে তোলে নেয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাছের মোড়া তোলে নেয়ার ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর জেলা জোড়ে সমালোচনার ঝড় বয়। কলেজের সাবেক শিক্ষক, জেলার সচেতন মহল, জনপ্রতিনিধি, পরিবেশবাদী সংগঠন ও সাবেক শিক্ষার্থীরা নানা সমালোচনা করছেন। অধ্যক্ষের এমন কর্মকান্ডে তারা হতবাগ। ইতিমধ্যে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ। বেশ কয়েকটি সংগঠন এর প্রতিবাদও জানিয়েছে।
সরেজমিন শুক্রবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, গার্ড মুক্তার আলী ও মাষ্টার রোল শ্রমিক শফিকের তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞান ও স্কাউট ভবনের পূর্ব পাশ থেকে ১৮/২০ জন শ্রমিক তড়িঘরি করে গাছের মোড়া তোলে গাড়ি দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এগুলো কার নির্দেশে তোলা হচ্ছে জানতে চাইলে তারা বলে, “প্রিন্সিপাল স্যারা এগুলো তোলার জন্য বলেছেন”। এসময় দেখা যায় অধ্যক্ষ্যের বাস ভবনের মেইন ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষ্যের স্ত্রী কর্মচারী মুক্তার ও শফিককে ফোনে নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন। প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর শ্রমিকরা অনেকটা তড়িঘরি করে কয়েকটা মোড়া ফেলে চলে যায়।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও এটিএন নিউজ ও এটিএন বাংলা’র ষ্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ মহসীন পারভেজ বলেন, আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কোনো অবস্থাতে এরকম গাছ কাটা ঠিক হয়নি। তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন মৌলভীবাজার জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান করেন।
এ বিষয়ে জানতে কলেজ অধ্যক্ষ ড. ফজলুল আলী’র ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।