ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারে তোলপাড় চলছে পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল নিয়ে। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গ্রাহকরা বকেয়া মাশুল ছাড়া তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল এক সঙ্গে দেয়ার সুবিধা পাবার কথা থাকলেও এজেলায় তা হচ্ছে না। মূল বিলের সাথে ৫ শতাংশ বিলম্ব মাশুল সংযুক্ত করে গ্রাহকদের বিল দেয়া হচ্ছে। এ ভুতুড়ে বিল নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। অতিরিক্ত বিল কিভাবে সমন্বয় হবে এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তরও পাচ্ছেন না তারা। বাধ্য হয়ে শত শত গ্রাহক ভুতুড়ে বিল পরিশোধ করছেন।
এ অবস্থায় করোনা ঝুঁকির মধ্যেই তাদের বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন অফিসে ধরনা দিতে হচ্ছে। এদিকে মিটারে ভুতুড়ে বিলের পাশাপাশি প্রিপেইড মিটারে অতিরিক্ত টাকা কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রিপেইড গ্রাহকদের অভিযোগ, মিটারে টাকা লোড করার পর দু-তিন দিনের মধ্যে ব্যালেন্স জিরো হয়ে যাচ্ছে।
সদর উপজেলার কনকপুর ইউনিয়নের মনসুর উদ্দিন আহম্মদ নামের এক গ্রাহক বলেন, মার্চ মাসে এসেছে ১৬০ ইউনিট, মে মাসে ১৭০ ইউনিট এবং এপ্রিল মাসে অনুমান করে ৪২০ ইউনিট ধরা হয়েছে। বিগত বছরেও এরকম বেশি বিল কখনও আসেনি। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসে গেলে কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্টজনক কোনো উত্তর দিতে পারেনি। তারা বলেন, আগামীতে সমন্বয় করে অতিরিক্ত বিল বাদ দেয়া হবে। মোঃ গোলাম মেহরাজ নামে অপর এক গ্রাহক বলেন, জানুয়ারীতে ১১০ ইউনিট, ফেব্রুয়ারীতে ১৫০ ইউনিট, মার্চে ১৩৫ ইউনিট, এপ্রিলে ২১০ ইউনিট ও মে মাসে ধরা হয়েছে ৬৯০ ইউনিট। যা বিগত মাস গুলোর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। বিষয়টি নিয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে সন্তুষ্টজনক কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। গ্রাহকরা বলছেন, একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে তাদের কাছ থেকে সংকটপূর্ণ সময়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে।
রাজনগর উপজেলার এক গ্রাহক বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এপ্রিল ও মে মাসের বিল প্রায় অনুমান করে দিয়েছে। এই দুই মাসের বিলের সাথে পূর্বের মাস গুলোর বিলের কোনো মিল নেই। অনেক বেশি টাকা নেয়া হচ্ছে। ওই উপজেলার নুরুল ইসলাম নামের আরেক গ্রাহক বলেন, উনার কাছ থেকে বিলম্ব ফি সহ বিল নেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ এর জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, এই সমস্যা নিয়ে যে সকল গ্রাহকরা আসছেন তাদের বিল সংশোধন করে দেয়া হচ্ছে। এমনটি হচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এমনটি হয়েছে।
ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ট মৌলভীবাজারবাসী
