বিশেষ প্রতিনিধিঃ
স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে মৌলভীবাজার জেলা শহর ও উপজেলার বড় বড় বাজারে ঈদের কেনাকাটা চলছে। বিশেষ করে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বড় বাজার গুলোতে নূন্যতম সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম মানা হচ্ছে না। জেলা, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনে পক্ষ থেকে একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি দিলেও এগুলো আমলে নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও অনেকটা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
জেলার সচেতন মহল বলছেন, প্রশাসনের তরফ থেকে দায় সাড়া দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই এর খেসারৎ দিতে হবে এ জেলার জনগনকে। তাই তারা প্রশাসনকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
জানা যায়, প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোনো প্রকার সচেতনতার তোয়াক্কা না করে ফ্রিস্টাইলে চলছে কেনাবেচা। অসচেতন নারী-পুরুষ মহাবিক্রমে বাজার-সদাই করছে। অনেকে আবার শিশু সন্তনকে নিয়ে শপিং করছে। সেইসঙ্গে অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনে চলাচল বৃদ্ধির ফলে যানজট বাড়ছে শহগুলোয়। এতে তৈরি হচ্ছে মারাত্মক করোনা ঝুঁকি।
শহরের বিভিন্ন শপিংমল ও কাপড়ের বড় বড় দোকান ঘুরে দেখায় যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় শহরের সেন্ট্রালে একটি দোকানে সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে কেনাকাটা চলছে। শনিবারে ক্রেতাদের উপস্থিত চোখে পড়ার মতো ছিল। সরকারি নির্দেশনা মতে ১০ মে থেকে স্বল্প পরিসরে দোকান বা শপিংমল খোলা যাবে। কিন্তু সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে নির্ধারিত সময়ের আগেই শহরের পশ্চিম বাজার ও সেন্ট্রাল রোড এলাকায় বিভিন্ন কাপড়ের দোকানপাট খুলতে দেখা যায়। অনেকেই নির্ধারিত সময়ের পরেও বন্ধ করছেন। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এদিকে জেলা শহরের বড় শপিং মহল বিলাস ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর ও এমবি’র মালিক পক্ষ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্রেতা মহলের নিরাপত্তা ও করোনা ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকার জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। একইভাবে আর কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অধিকাংশেরও বেশি প্রতিষ্ঠান খোলা।
ছামির ক্লথ ষ্টোরের সত্ত্বাধিকারী মোক্তাদির হোসাইন বলেন, কিছু কিছু ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্দেশনা মানছেন না। তবে আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকান খোলছি।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ তাওহীদ আহমদ বলছেন, সরকার সীমিত পরিসরে বিধিবিধান দিয়ে দোকান খোলার কথা বললেও এটা মানা হচ্ছে না। যার ফলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। এ ভাইরাস আরও দীর্ঘ মেয়াদী হওয়ার সম্ভাবনা পরিলক্ষি হচ্ছে। সরকারের দেয়া স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান করেন তিনি।
জেলা দোকান-মালিক সমিতির আহ্বায়ক বকশি ইকবাল আহমদ বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন জীবিকার কথা বিবেচনা করে খোলার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক মনে করছি। তবে সরকারের দেয়া বিধি নিষেধ না মানলে এটা কোনো অবস্থাতে মেনে নেয়া যাবে না। অবশ্যই সকল ব্যবসায়ীকে নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
Post Views:
0