ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার জেলায় ইপিআই কর্মসূচি চলমান থাকায় করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে রয়েছেন জেলার কয়েক হাজার মানুষ। সরকারি তরফ থেকে হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকার কিংবা জরুরি প্রয়োজনে বাহির হলে ৩ ফুট দূরত্ব বাজায় রাখার নির্দেশ দিলেও ইপিআই কার্যক্রমে এটা মানা হচ্ছে না। জেলার বিভিন্ন ইপিআই কেন্দ্রে অনেকেই গাদাগাদি করে টিকা নিচ্ছেন। যার ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ ঝুঁকিতে পড়ার পাশপাশি স্বাস্থ্য সহকারীরাও চরম ঝুকিতে পড়েছেন।
এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে ইপিআই কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য স্বাস্থ্য সহকারীরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিক আবেদন করেছেন। এরপরেও কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। এ পরিস্থিতিতে ইপিআই কার্যক্রম নিয়ে স্বাস্থ্য সহকারী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে অনেকটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ২’শ ৭৬ জন স্বাস্থ্য সহকারী রয়েছেন। ২০ হাজার ২০২ কেন্দ্রে তারা এ কার্যক্রম চালান। সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার ব্যতীত বাকি দিন গুলোতে তারা এ কার্যক্রম চালান।
একাধিক স্বাস্থ্য সহকারী বলেন, নির্ধারিত কেন্দ্রে কেউই টিকা দিতে দিচ্ছেন না। অন্য বাড়িতে বা খোলা জায়গায় টিকা দিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে একাধিক লোকের সমাগমও ঘটে। যেটা বর্তমান পরিস্থিতিতে মোটেই কাম্য নয়। আপাদত এটা বন্ধ রাখার দাবি করেন তারা।
এবিষয়ে সিভিস সার্জন ডাঃ তাওহীদ আহমদ বলেন, এটা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। এককভাবে আমার পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব নয়। ইপিআই নিয়ে ঢাকাও একাধিকবার আলাপ করছি।
মৌলভীবাজারে ইপিআই কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি স্বাস্থ্য সহকারীদের
