ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সরকার ইতি মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী/বেসরকারী অফিসের কার্যক্রম, শপিং মহল, রেষ্টুরেন্ট ও সারা দেশের গণপরিবহন বন্ধ করলেও বন্ধ হয়নি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বালুমহাল ইজরা প্রদানের কার্যক্রম। জেলা প্রশাসনের এমন কান্ডজ্ঞানহীন কার্যক্রমে হতাশ জেলার সচেতন মহল। একটি বিশ্বস্থ সূত্র বলছে, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি মহলকে কম মূল্যে বালু মহালগুলো ইজরা দেয়ার জন্য দেশের সংক্রটপূর্ণ সময়েও এমন কার্যক্রম চলছে।
জেলা প্রশাসক সূত্রে জানা যায়, ১৪২৭ বাংলা সনে জেলার ৭ উপজেলার ৪২টি বালু ঘাট ১ বছরের জন্য ইজারা প্রদানের বিজ্ঞপ্তি গত ০২ মার্চ প্রকাশ হয়। সেই আলোকে ২৪ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ দুপুরে ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত দরপত্র বিক্রিয় ও গ্রহণ করা হয়। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার সময় দরপত্র খোলা হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকায় দরপত্র বিক্রি বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ করেছেন বড় একটি অংশ। কিন্তু তার পরেও ইজরা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়নি। এনিয়ে তাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন বিরাজ করছে।
দরপত্রতে অংশ গ্রহণকারীদের অভিযোগ, সুনির্দিষ্ট মহলকে কম মূল্যে ইজারা দেয়ার জন্য প্রতিকূল পরিবেশেও এমনটি করা হচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের সাথে জেলা প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের একটি অংশ জড়িত। ১/২ মাস পরে চাইলেও ইজার দেয়া যায়। এগুলোতে পঁচে যাবার জিনিষ নয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা পরবর্তী ৮টি দাফে চাইলেও ইজরা প্রদান করা যেত।
জান যায়, ২৫ মার্চ দুপুর ১.৩০ মিনিট পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ১৪৪টি সিডিউল বিক্রি হয়েছে। ৭ উপজেলায় বিক্রি করার জন্য ৫০টি সিডিউল দেয়া হয়েছে। সিডিউল ক্রয়, জমা দেয়া এবং খোলার সময় অর্ধশতাধিক মানুষের সমাগম হয়। অথচ সরকার থেকে বলা হয়েছে ২জন লোক একত্রে না থাকার জন্য। কিন্তু এই নিয়ম মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে মানা হয়নি।
এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুনুর রশীদ বলেন, এটা আজই সম্পূর্ণ করা হবে। দেশের প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে দরপত্র আহ্বান বন্ধ রাখা যায় কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন একজন করে এসে জমা দিবেন। এতে কোনো সমস্যা নয়।
করোনা ভাইরাসের মধ্যেও মৌলভীবাজারে বালুমহাল ইজারা চলছে
