স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার হরিপাশা গ্রামে আনমনু বদ্ধ জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরছে একটি মহল। অভিযোগ রয়েছে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার ছত্রছায়ায় এমনটি হচ্ছে। জলমহাল শুকানোর সময় স্থানীয়রা একাধিকবার অভিযোগ দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো প্রদক্ষেপ নেয়নি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, অন্যান্য বছর আনমনু বদ্ধ জলমহালের পার্শ্ববর্তী জমিতে বোরো চাষাবাদ হতো। কিন্তু এবার জলমহাল থেকে পানি ব্যবহার করতে না দেয়ায় পতিত রয়েছে অনেক জমি। বড় ধরনের লোকশানে পড়েছেন কৃষকরা।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে জলমহালটি টেংরা একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি’র নামে ইজারা বরাদ্দ হয়। কাগজে কলমে জলমহালটি ওই সমিতির নামে থাকলেও ব্যবহার করছেন টেংরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু খানের ভাই সাহেদ খান। একটি সূত্র বলছে, জলমহালটি নিজেদের আওতায় রাখতেই কেবলমাত্র সমিতির নাম ব্যবহার করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমিতির সদস্যরাও জানেন না জলমহালটি তাদের নামে ইজারা দেয়া হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আনমনু জলমহালের ৩টি অংশে ভিবক্ত। মধ্যখানের অংশ শুকানোর জন্য গত ৬ মার্চ সেচের মিশিন বসানো হয়। এরপর থেকেই নিয়মীত মাছ বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে জলমহালের তলদেশ শুকিয়ে শুক্রবার ভোরে মাছ বিক্রি করা হয়।
এবিষয়ে জানতে টেংরা একতা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি’র সভাপতি রঞ্জিত বদ্ধ অসুস্থ্য থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘ দিন যাবত অসুস্থ্য থাকায় সমিতির সাথে জড়িত নয়। আনমনু জলমহালের সাথেও আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মৎস্য অফিসার ফনী ভুষণ দেব বলেন, “এটা আনমনুর পার্শ্ববর্তী একটি পুকুর। রেনু করার জন্য এ অংশ শুকানো হচ্ছে। তিনি ওই চক্রের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার উর্মি রায় বলেন, এবিষয়ে আমি অবগত নয়। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
রাজনগরে জলমহালা শুকিয়ে মাছ আহরণ
