স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনা ভাইরাসের সূত্র ধরে বেড়ে যাওয়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসনের একাধিকবার অভিযানের পরেও অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ক্রমান্বয়ে দাম বৃদ্ধি করছে। যার ফলে বেকায়দা পড়েছেন জেলার নি¤œ আয়ের মানুষ। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শ্রমিকের কাজ বন্ধ থাকায় পরিবারের দৈনন্দিন খরচ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এদিকে প্রবাসী অধ্যূষিত এজেলার প্রবাসীরা বাড়িতেও টাকা পাঠাতে পারছেন না। ফলে আর্থিক সংকটের মাঝে পড়েছেন প্রবাসী নির্ভর পরিবারও।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌলভীবাজার পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০/৮০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, চাউলের দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় ২’শ টাকা। একইভাবে অন্যান্য পণ্যদ্রব্যেরও দাম বাড়ানো হচ্ছে।
বড়লেখা থেকে একজন সংবাদকর্মী জানান, জরিমানা করার পরেও ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। কোনো অবস্থাতেই তাদের লামানো যাচ্ছে না। রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলায়ও একই অবস্থা বিরাজ করছে। বদরুল আলম চৌধুরী নামে এক ক্রেতা বলেন, “প্রশাসন মাঠে থাকা অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথে ফের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
জরিমানা নয়, দাম বাড়িয়ে রাখা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ করার দাবি করছেন ক্রেতারা। এসকল ব্যবসায়ীর তালিকা করে তাদের লাইসেন্স বাতিল করার দাবি করছেন তারা।
এবিষয়ে জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আল আমিন বলেন, বর্তমানে বাজার অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে গ্রামগঞ্জে কিছুটা হচ্ছে। বাজার মনিটরিং করে চলে আসার সাথে সাথে ফের বেশি দাম নিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খবর পেয়েছি এমনটি হচ্ছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত আছে।
Post Views:
0