রাজনগর প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের রাজনগরে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মনুনদী খননে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মাটি বহণকারী গাড়ীর চালক ও শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এঘটনায় রোববার সকালে উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সামছুল ইসলাম শফি বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। তবে এব্যাপারে এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্য একে অপরকে দায়ী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের একামধু খেয়াঘাট এলাকাসহ মনুনদীর তারাপাশা ব্রিজ থেকে মনু ব্যারেজ পর্যন্ত ১১টি চর কাটিং ও অপসারণ কাজ বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইজিপি টেন্ডারে ১২ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কার্যাদেশ পায় ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কেবিআই-এলজেআই (জেভি)। গত ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই ১১ টি চরের প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটার মাটিকাটা শেষ করতে সময় বেধে দেয়া হয়েছে তাদের। তবে এ পর্যন্ত মাত্র ২টি চরের মাটি কাটা ও অপসারণের কাজ শেষ হয়েছে। এসব মাটি নদীর দুইপাড়ের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ শক্তিশালী করণ ও বাঁধের নিকটবর্তী গর্ত, ডোবা, বরোপিট ও নীচু জমি ভরাটের কাজে ব্যবহার করার শর্ত দেয়া হয়েছে। তবে মাটি ভরাটের বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে স্থানীয় দুটি পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে। উভয়পক্ষই এব্যাপারে ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। শর্ত ভঙ্গ করে ওই প্রতিষ্ঠান মাটি বিক্রি করছে অভিযোগ করে সম্প্রতি স্থানীয় ইউপি সদস্য সামছুল ইসলাম শফি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে ওই ইউপি সদস্য ও তার লোকজন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে বাধা সৃষ্টি করছেন এবং শ্রমিক ও মাটিবহনকারী গাড়ি চালকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন উল্ল্যেখ করে ইউএনও বরাবর পাল্টা অভিযোগ জমা দিয়েছেন এলাকাবাসী। রোববার সকালে একামধু খেয়াঘাট এলাকায় ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করেছেন তারা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হোসেন আহমদ, রাসেল মিয়া, জহির আলী, আলতা, ছালেক ও ইউসুফ প্রমুখ।
ঘটনার সত্যতা জানতে ইউপি সদস্য সামছুল ইসলাম শফি এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে রাজনগর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত ইউএনও উর্মি রায় বলেন, নদীর মাটি কেটে ও অপসারণ করে অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে এলাকা পরিদর্শন করেও সত্যতা পাইনি। তবে মানববন্ধনের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।