ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবালা ইউনিয়নের বুরুতলা গ্রামে পুলিশের সাথে ডাকাত দলের গুলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় দুই ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। তখন মৌলভীবাজার মডেল থানার ৬ পুলিশ সদস্য আহত হন। শনিবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি কাটা রাইফেল, একটি পাইপগান, ৬টি তাজা কার্তুজ, ৩টি খোসা, গ্রিল কার্টার, তিন ভরি স্বর্ণালংকারসহ ডাকাতি করে আনা বিভিন্ন সামগ্রী সহ ডাকাতদের বহনকারী সিএনজি চালিত দু’টি অটোরিক্সা উদ্ধার করে জব্দ করেছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত ২.৩০ টার দিকে মৌলভীবাজার সদর নাজিরাবাদ ইউনিয়নের কমলাকলস গ্রামের ছালিক বেগের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ বাড়িতে ডাকাতি শেষে ১০/১২ জনের ডাকাত দল সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে সদর উপজেলার কাগাবালা ইউনিয়নের আথানগিরি গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ এর ৩/ ৪টি টহল দল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বুরুতলা প্রাইমারি স্কুলের সামনে অবস্থান নেয়। তখন চলাচলকারী যানবাহন তল্লাশী করে পুলিশ। ডাকাতদের বহনকারী দু’টি অটোরিক্সাকে থামানোর জন্য পুলিশ সংকেত দিলে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। তখন বুলু (৪০) নামে ডাকাত সর্দার গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ডাকাতরা পালাতে থাকে। এ সময় পুলিশ লাল মিয়া (৪৫) ওরফে লালু ও আফজাল (২৮) নামে দুই ডাকাতকে আটক করে। গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার উত্তর কালনীচর গ্রামে। তার পিতার নাম মৃত গোলাপ মিয়া। পুলিশের হাতে আটক ডাকাত আফজলের বাড়ি সদর উপজেলার আথানগিরির মাইজগাঁওয়ে ও লালুর বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকার মোহাম্মদপুরের আঙ্গুরা গ্রামে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন এসআই সুলতান, জিয়াউল, নূরুল ইসলাম, এএসআই কোরবান, কনস্টেবল নিরুপম ও নিলয়। তাদেরকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানা জানায়, আটক ডাকাতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও পুলিশের কাজে বাধা প্রদান এবং শারীরিক আঘাত করাসহ বিভিন্ন ধারায় তিনটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে।
মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, ৯৯৯ এ খবর পেয়ে ডাকাত দলকে আটকানোর চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। তখন পুলিশও অন্তত ১০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ডাকাত মারা যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।