হোসাইন আহমদ ঃ
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো: মখলিছুর রহমান। সরকারি চাকরিতে ঢুকেছেন ১৯৮৮ সালের ৬ নভেম্বর। দীর্ঘ ৩২ বছর চাকরি করলেও একই পদ থেকে তিনি অবসরে যাচ্ছেন আগামী ৩১ মে। শুধু তিনি নন, তার মতো সৈদয় আজমল হোসেন, মনিন্দ্র কুমার সিংহ এবং রেনু কুমার সিংহ একই সময় একই অফিসের একই পদের চাকরিতে যোগ দিয়ে আগামী জুলাইয়ের মধ্যে অবসরে যাচ্ছেন পদোন্নতি ছাড়াই।
জেলার জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে এবং উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে (১১-১৬ গ্রেডের) তৃতীয় শ্রেণীর ১০৯ জন কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। ০১ জানুয়ারী থেকে ওই কর্মচারীরা পদন্নোতির দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ২৫ ফেব্রুয়ারী থেকে তারা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে রয়েছেন। যার কারণে পুরো জেলার প্রশাসনিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। কর্মচারী ছাড়া অনেকটা বেকায়দায় পড়েছেন প্রশাসনের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তারা। বিশেষ করে মুবিব বর্ষের কাজেও মারাত্মক নৈতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীরা কর্মবিরতীতে থাকায় সঠিকভাবে কর্মসূচিও বাস্তাবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অফিস সুপার পদে ৭, ষাটলিপিকার পদে ৪, সিএ কাম ইউডিএ পদে ৮, স্টেনো টাইপিষ্ট পদে ৬, উচ্চমান সহকারী পদে ১৫ এবং অফিস সহকারী ও সমমান পদ ৬৯জন কর্মরত রয়েছেন।
মৌলভীবাজারে আন্দোলনকারীরা বলছেন, এবার দাবি আদায় না হলে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে মহা সমাবেশের ডাক দেবে তারা। দাবি মানার পূর্ব পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
জেলার বড়লেখা উপজেলা থেকে আশা রহিম মিয়া বলেন, জরুরি একটি কাজে সকালে এসেও কর্মচারীরা অফিসে না থাকায় কাজ হয়নি। আগামীকাল আবার আসতে হবে। এভাবে দেখা যায় অনেকেই বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে কাজ না করে ফেরত যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, কালেক্টরেট সহকারী সমিতি মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্যরা পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলনে থাকায় জেলার বিভিন্ন প্রান্থ থেকে আসা সেবা গ্রহিতারা ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন। যার ফলে প্রশাসনিক কার্যক্রমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। মুবিব বর্ষের কার্যক্রমও সঠিকভাবে করা যাচ্ছে না।
মৌলভীবাজারে পদোন্নতি বঞ্চিত ১০৯ কর্মচারীর পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি অব্যাহত
