বিশেষ প্রতিনিধিঃ
আজ ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে যাঁরা জীবন দিয়েছিলেন, তাঁদের এদিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারগুলোতে। কিন্তু মৌলভীবাজারের ৬৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। যার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ জাতীয় দিবসগুলোতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা।
এসব দিবসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো কোনোটিতে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। আর কোনো কোনোটিতে তা–ও করা হয় না। অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফুল দিতে যেতে হয় দূরের কোনো শহীদ মিনারে।
এদিকে কওমি মাদ্রাসাকে আলাদা শিক্ষা বোর্ড করে দাওরায়ে হাদিসকে মাষ্টার্স এর মান দিলেও জেলার অধিকাংশ কওমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় দিবস সমূহ যথাযথ ভাবে পালন করা হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এ সকল কওমি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় দিবস সমূহকে দোয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেখানে দোয়াও করা হয়নি। এবিষয়ে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বলরামপুর টাইটেল মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা আসাছ আহমদ বলেন, ফুল দিয়ে কখনও শুভেচ্ছা জানানো হয়নি এবং আমাদের এধরনের কোনো নির্দেশনা নেই। তবে দোয়া দূরূদ করা হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ১০৫২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৬৬টিতেই শহীদ মিনার নেই। এ ছাড়া মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেনগুলোর সিংহভাগেই নেই কোনো শহীদ মিনার। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম এ ওয়াদুদ বলেন, জেলার ২০ শতাংশ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই। তবে এগুলোতে শহিদ মিনার নির্মাণ করার জন্য চেষ্টা বলছে।
একাধিক অভিভাবক বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার নির্মাণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। আমরা অনেক দিন ধরে দাবি করে আসলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। যার ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা জীবনের শুরুতেই মহান ভাষা ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয়ে তালিকা পাঠানো হয়েছে। আশাকরি খুব শীঘ্রই বাকী প্রতিষ্ঠান গুলোতে শহিদ মিনার নির্মাণ করা হবে।
মৌলভীবাজারে শহীদ মিনার নেই ৬৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
