বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় সরকারিভাবে ধান ক্রয়কে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের দুটি পক্ষের মধ্যে মঙ্গল ও বুধবার থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এই ঘটনার জেরে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজান খাঁন ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখতের অনুসারীদের মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা চত্বরে দাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনায় ২জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত উপজেলা এলাকায় তমতমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজান খাঁনের অনুসারী রাসেল ও শরীফ। আহতদেরকে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত বলছেন, তার কোনো কর্মী আহত হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা হলরুমে আইন শৃঙ্খলা ও সমন্বয় কমিটির সভা ছিল। সকাল থেকে রাজনগর উপজেলার সামনে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজান খাঁন ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন বখতের অনুসারীরা অবস্থান নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সকাল থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন ছিল। বিকাল ৩টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারীরা পুলিশের অনুরোধে অবস্থান স্থল ত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন কিন্তু মিলন বখতের অনুসারীরা উপজেলার ভীতরে ছিলেন। এসময় মিলন বখত স্বাক্ষ্য দেয়ার জন্য ভুমি অফিসারের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। মিলন বখত ভুমি অফিসারের কার্যালয়ে থেকে দেরি করে বের হওয়ার কারনেই উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারীরা উত্তেজিত হয়। এর পরেই এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগরে সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত যুগান্তরকে বলেন, “আমি উপজেলা থেকে আসার পরে শুনেছি মারামারি হয়েছে। তবে কিভাবে সংঘর্ষের সূত্রপাত পুরো ঘটনা বলতে পারছি না”।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজান খাঁনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রাজনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাশেম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে উভয় পক্ষে কয়জন আহত হয়েছেন সঠিক তথ্য এখন বলা যাচ্ছে না।
Post Views:
0