স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কদুপুর এলাকায় দুই পরিবারের পূর্ব শত্রুতার জেরে সরকারি রাস্তার কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাস্তায় কাজ শুরু করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউপি চেয়ারম্যান অনুরোধ করলেও একটি পক্ষ মানতে নারাজ বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার কদুপুর উত্তর ছড়ার পার পুরাতন ইট সলিংয়ের মুখ হতে পীরের বাড়ি পর্যন্ত ৬’শ ফুট সলিং রাস্তার জন্য এলজিএসপি’র আওতায় গিয়াসনগর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আসে। বরাদ্দের অনুযায়ী গত ৮ জানুয়ারী থেকে কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করতে ঠিকাদার শ্রী পদ দে রাস্তার পাশে বালু ও ইট এনে রাখেন। কিন্তু ওই রাস্তার পাশে ২০-২২ ফুট জায়গা ওই এলাকার বাসিন্দা জিতু তালুকদারের পরিবারের হওয়ায় তারা পুরো রাস্তায় কাজ করতে বাধা দেয়। তাদের বাঁধার কারনে এখন পর্যন্ত কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
সরেজমিন এলাকায় গিয়ে আব্দুস শহিদ, রাবিয়া বেগম ও ফাহিমসহ এলাকাবাসীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, এই রাস্তা দিয়ে সংখ্যালঘু পরিবারসহ প্রায় শতাধিক পরিবার চলাফেরা করেন এবং এরাস্তা দিয়েই এলাকার লোক ও গবাদিপশু হাওরে নামেন। চাষাবাদের মৌসুমে ওই রাস্তা দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিষ হাওরে নেয়া হয়। রাস্তায় কাজ করার জন্য এলাকার সর্বস্থরের মানুষের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু সৈয়দ গৌছুল ইসলামের পরিবারের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে জিতু তালুকদার ও তার পরিবারের সদস্যরা এ কাজে বাধা দিচ্ছেন।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য শ্রী গৌর পদ বলেন, “রাস্তায় কাজ করাতে গিয়ে বাঁধা আসলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হস্তেক্ষেপ করেন। তিনি বাঁধা প্রদানকারী জিতু তালুকদারের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসে তাদের দাবিকৃত ৬-৭ হাত জায়গা ব্যতিত বাকী রাস্তায় কাজ করার সিদ্ধান্ত দেন। জিতু তালুকদারের পরিবারও মেনে আসে। পরবর্তীতে কাজ করাতে চাইলে জিুত তালুকদার বাঁধা দেন। ইউপি সদস্য আরও বলেন, জিতু তালুকদার পীরের বাড়ির সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ কাজে বাধা দিচ্ছেন। এছাড়া আর কিছুই নয়।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা বলেন, “এলাকার সর্বস্থরের মানুষ একমত রাস্তা করার জন্য। কিন্তু দুই পরিবারের পূর্ব শত্রুতার জেরে জিতু তালুকদারের পরিবার একাজে বাধা দিচ্ছে। একাধিকবার তাদেরকে অনুরোধ করলেও তারা কাজ করতে দিচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলমা বলেন, “স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাধা প্রদানকারী পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছে। আপাদতো বাধাকৃত জায়গা ব্যতীত অন্যস্থানে কাজ চলবে। সরেজমিন এলাকায় গিয়ে বাকিটুকু সমাধান করে দেব।
তবে বাধা প্রদানকারী জিতু তালুকদার বলেন, “বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আমাদের কোনো বৈঠক হয়নি। আমি নিজ থেকে সমাধানের জন্য আমার গোষ্ঠির বড় ভাই আব্দুর রূপকে চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা উনার সাথে উল্টাপাল্টা কথা বলেছেন।
মৌলভীবাজারে সরকারি রাস্তার কাজে বাধা, এলাকায় উত্তেজনা
