ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার পৌর শহরের হযরত সৈয়দ শাহ মোস্তফা দরগাহ জামে মসজিদের ভীতর থেকে নির্মাণ কাজের দান বাক্স ভেঁঙ্গে নগদ টাকা চুরির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও নানা প্রশ্ন বিরাজ করছে। চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোতাওয়াল্লী ও ম্যানেজারের ভুমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ ঘটনার ১৯ দিন পর জিডি করায় সন্দেহের তীর মোতাওয়াল্লী ও ম্যানেজারের দিকে আরও ভারী হচ্ছে।
মাজারের ম্যানেজার জানান, ১৪ ডিসেম্বর ফজরের নামাজের সময় ছোট মুয়াজ্জিন মসজিদ ঝাড়– দিতে গিয়ে দেখেন দান বক্স ভাঁঙ্গা। পরে তিনি বড় মুয়াজ্জিনকে বিষয়টি দেখান। চুরির ১৪ দিন পর গত ২৮ ডিসেম্বর মাজারের বাৎসরিক ওরসের মিটিংয়ে কমিটির সদস্যরা বসলে বিষয়টি আলোচনায় উঠে। চুরির ঘটনার এতোদিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও আইনী কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় কমিটির সদস্যরা বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখেননি। পরবর্তীতে কমিটির সিদ্ধান্তে গত ২ জানুয়ারী মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। চুরির ১৯ দিন পর সাধারণ ডায়েরী করায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে আলোচনা না করায় সিসিটিভি’র আর্কাইভ থেকে ফুটেজও চলে গেছে। ম্যানেজার দাবি করছেন দান বক্সে অনুমানিক ১০ হাজার টাকা ছিল। তবে কমিটির একজন সদস্য বলছেন, দান বক্সে বড় অংকের টাকা ছিল।
এদিকে একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, চুরির রাতে মসজিদের গেইটে তালা ছিল। মুয়াজ্জিন তালা খুলে ফজরের সময় মসজিদে ঢুকেন। কিভাবে জানালা দরজা না ভেঁঙ্গেও ভীতর থেকে টাকা চুরি হয়ে যায় এনিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন বিরাজ করছে।
মাজারের ম্যানেজার ফজলুল আলম চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। পুলিশ চোরকে শনাক্ত করার জন্য চেষ্টা করছে। তবে ঘটনার ১৪ দিন অতিবাহিত হওয়ায় সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। মসজিদের গেইটের তালা, দরজা কিংবা জানালা না ভেঁঙ্গে কিভাবে মসজিদের ভীতর থেকে টাকা উধাও হয়ে যায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি আমারও বুঝে আসছে না।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমঙ্গীর হোসেন বলেন, “থানায় জিডি হয়েছে, আসামীদের ধরতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মৌলভীবাজারে মসজিদের টাকা চুরি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ
