ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিসে মেডিকেল রিপোর্ট গ্রহণের সময় সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ৫৬ জন সরকারি চাকুরিজীবিদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। নতুন চাকুরিজীবি থাকায় কেউই প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে ৫৬ জনের নিয়োগ প্রাথমিকভাবে চুড়ান্ত করে জেলা প্রশাসন। চুড়ান্ত নিয়োগের জন্য মেডিকেল রিপোর্ট চায় নিয়োগ কর্তৃপক্ষ। ওই পরীক্ষা সমূহ সদর হাসপাতালে করার কথা থাকলে সেখানে সম্ভব হয়নি। পরে বাহিরের ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসা হলে এটা গ্রহণ করার জন্য ঘুষ দিতে হয়।
নাম গোপন রাখার শর্তে একাধিক চাকুরিজীবি বলেন, সদর হাসপাতালে পরীক্ষা না করিয়ে বাহিরের ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসার কথা বলা হয়। বাহির থেকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে রিপোর্ট নিয়ে আসলে এটা গ্রহণ করা বাবত সিভিল সার্জন অফিসের স্টেনোগ্রাফার মঈন উদ্দিন কারো কাছ থেকে ২’শ আবার কারো কাছ থেকে ৩’শ কিংবা ৪’শ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। অথচ আমাদেরকে কোনো রশিদ দেয়া হচ্ছে না। চাকুরিজীবিরা রশিদ চাইলে তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিসের স্টেনোগ্রাফার মঈন উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারি নির্ধারিত ফি একশ টাকার বেশি নেয়া হচ্ছে না।
মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন অফিসে ঘুষ আদায়
