বিশেষ প্রতিনিধি:
প্রকাশ্যে রাস্তায় ডিএসবির কন্সটেবল আবুল বাশারকে পিটালেন মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমঙ্গীর হোসেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে মৌলভীবাজার চৌমূহনায় ঘটনাটি ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদে ও তার মুক্তির দাবিতে মৌলভীবাজার চৌমূহনা থেকে সকাল ১০টায় বিএনপি’র মিছিল হবার কথা ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দায়িত্ব পালন করতে চৌমূহনা এলাকায় আসেন ডিএসবি সদস্য আবুল বাশার। এসময় মডেল থানার এসআই তাপসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চৌমূহনায় দায়িত্ব পালনরত ছিল।
সকাল ১১টার দিকে বিএনপি’র ১৫-২০ জন লোক জড়ো হয়েছিল রাস্তায়। এমন সময় আবুল বাশার দায়িত্ব পালন করছিলেন চৌমূহনায়। পুলিশের ড্রেস পরিহিত অবস্থায় মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমঙ্গীর হোসেন ডিএসবি সদস্য আবুল বাশারকে পিছন দিক থেকে এসে পিটাতে থাকেন বিএনপি কর্মী বলে।
ডিএসবি সদস্য আবুল বাশার জানান, “সকালে আমি অফিসে আসার পর পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে ডিআইও-১ আবু তাহের স্যারের সাথে চৌমূহনা পয়েন্টে যাই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তুলতে। ঘটনার সময় আমি যখন ছবি তুলতে যাই হঠাৎ করে পিছন দিক থেকে আমাকে ড্রেস পরিহিত অবস্থায় আক্রমণ করেন ওসি। তখন তাকে বলি যে আমি ডিএসবি সদস্য। এরপর তিনি আমাকে মাথায় আঘাত করেন।
এসময় মডেল থানার এসআই তাপস বলেন আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পুলিশের লোক হলে কি হবে? ডিএসবির লোক কিছু করতে পারবে না। ডিএসবি অফিস একটি বাজে অফিস। এসআই তাপস অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ওসি স্যারের সাথে ভুল বুজাবুঝি হয়েছে ডিএসবি সদস্যের। তবে তিনি মন্তব্যের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমঙ্গীর হোসেন জানান, ছত্রভঙ্গ করতে অজান্তে ঘটনাটি ঘটেছিল। বিষয়টি নিয়ে কথা বলা লজ্জার।
এ বিষয়ে নিয়ে পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ সাংবাদিকদের জানান, রাজনৈতিক একটা কর্মসূচী ছিল সেটি ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে গিয়েছিল। সেখানে নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুজি হয়েছে।
মৌলভীবাজারে রাস্তায় প্রকাশ্যে ডিএসবি সদস্যকে পিটালেন ওসি আলমঙ্গীর
