ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার আখালিমোরা গ্রামের অকিল বিশ্বাস তার কলেজ পড়োয়া মেয়ে মাধবী রানী বিশ্বাস হত্যার বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাসে বড়লেখা নারী শিক্ষা একাডেমীতে সরস্বতি পুঁেজা শেষে আমার মেয়ে মাধবী রানী বিশ্বাস বাড়ি ফেরার জন্য কলেজে গেটের সামনে গাড়ির অপেক্ষা করছিল। এসময় জেলার জুড়ী উপজেলার সায়পুর গ্রামের করুণা বিশ্বাসের ছেলে অরকুমার বিশ্বাস তার দলবল নিয়ে আমার মেয়েকে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে যায়। আমরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও মেয়ের সন্ধান পাইনি। মাধবীকে তুলে নেয়ার ২৬ দিন পর অরকুমার বিশ্বাস এফিডেভিট করে তাকে বিয়ে করে। কিন্তু অরকুমারের বাবা-মা এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় নিজ বাড়িতে তুলতে পারছিলো না। পরে দুই পরিবারের এলাকার মুরব্বিদের মধ্যস্থতায় সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। সামাজিক বিয়ের পর আমার মেয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন শুরু করে অরকুমার ও তার পরিবার। বিয়ের ৫ মাস ৮ দিনের মধ্যে একটি বারের জন্যও আমার মেয়ে মাধবীকে আমার বাড়িতে আসতে দেয়নি ওরা। গত ১৮ আগস্ট রাতে আমার মেয়ের স্বামী অরকুমারসহ তার পরিবারের সদস্যরা মাধবীকে মারধর করে। একপর্যায়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর তারা আত্মহত্যার নাটক সাজায়। ময়না তদন্ত শেষে লাশ নিয়ে আসার পরও আমার মেয়ের স্বামীর বাড়ির লোকজন আমাদেরকে লাশ দেখতে এবং কাস্ট অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেয়নি।
এঘটনায় ২৫ আগস্ট মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমলী আদালতে অরকুমার বিশ্বাসকে প্রধান করে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করি। আদালত ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই মামলার প্রতিবেদন কোর্টে প্রেরণের নির্দেশ দিলে এখন পর্যন্ত পুলিশ কোনো প্রতিবেদন দেয়নি। এদিকে আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রাণনাশের আতঙ্কে আছি। সংবাদ সম্মেলনে অকিল বিশ্বাসের স্ত্রী ছবিতা বিশ্বাসও উপস্থিত ছিলেন।
Post Views:
0