স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের খৈশাউড়া গ্রামে রাতের আঁধারে ঘরে ঢুকে এক যুবতীকে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশি কেনান মিয়ার ছেলে ছয়ফুল মিয়া (২৩)। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেছেন ধর্ষণের শিকার মেয়েটি। গত সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। টাকার বিনিময়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন স্থানীয় মাতব্বররা।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের খৈশাউড়া গ্রামের কেনান মিয়ার ছেলে ছয়ফুল মিয়া (২৩) প্রায়ই প্রতিবেশি রেশমা বেগমকে (১৮) (ছদ্মনাম) কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি ধর্ষক ছেলের বাবা ও চাচাকেও জানানো হয়। গত সোমবার (৪ নভেম্বর) মেয়েটি তার চাচাতো ভাই খালিদ মিয়ার ঘরে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ছয়ফুল মিয়া কৌশলে ওই ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে ঘুমন্ত অবস্থায় রেশমাকে জড়িয়ে ধরে। মেয়েটি তখন সজাগ হয়ে তাকে বাঁধা দিলে সে মুখচেপে ধরে রেশমাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন এসে ধর্ষককে হাতেনাতে ধরে। তাৎক্ষনিকভাবে গ্রামের মুরব্বি, ছেলের বাবা ও চাচা মিলে ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে পড়িয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন। পরে বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্টরা টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে গত ১১ নভেম্বর মেয়েটি বাদী হয়ে ধর্ষক ছয়ফুল মিয়াসহ অপর ৩ জনকে আসামী করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার ৩ নং আসামীকে গ্রেফতার করেছে। মেয়েটি বর্তমানে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন জানান, মামলার আসামী হেলাল মিয়া (৩৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান আসামীসহ বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Post Views:
0