বিশেষ প্রতিনিধি: মনু প্রকল্পাধীন কাশিমপুর পাম্প হাউজের পানি নিষ্কাশনের উপর নির্ভর করছে প্রকল্প এলাকার ৫ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ। চলমান ভাদ্র মাসের দ্বিতীয়ার্দ্ধের মধ্যে জলাবদ্ধতা দূর হলে মৌলভীবাজার সদর এবং রাজনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ৫ হাজার হেক্টর জমি থেকে বাড়তি ২০/৩০ হাজার টন ধানের বাড়তি উৎপাদন নিশ্চিত হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আশির দশকে চালু হওয়া মনু প্রকল্পের কাশিমপুর পাম্প হাউজ গত এক দশক আগে ক্রমশ কার্য্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলায় প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নেয়। ৫/৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোনা কিংবা রোপা আমন চাষাবাদ সম্ভব হচ্ছিল না। এলাকাবাসীর আন্দোলন এবং আবেদন নিবেদনের ফলে গত বছর ৮০ কোটি টাকা ব্যায়ে পাম্প হাউজে নতুন ৮টি পাম্প মেশিন স্থাপন করা হয়। ফলে জলাবদ্ধতার মাত্রা হ্রাস পেলে গত রোপা আমন মৌসুমে পরীক্ষামূলক ভাবে দেড় দুই হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছিলো। গত মৌসুমে পরীক্ষামূলক চাষাবাদ সফল হবার পর চলমান রোপা আমন মৌসুমে কৃষক মহলে নতুন উদ্দীপনা দেখা দেয়। ৫/৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যে বীজতলা তৈরী করা হয়েছিলো। কিন্তু বাঁধ সেধেছে সাম্প্রতিক বন্যা এবং কুশিয়ারা নদীর প্রবাহে আপলেভেল অবস্থান। কুশিয়ারা নদীর প্রবাহ বিপদসীমায় উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কাশিমপুর পাম্প হাউজের পানি নিষ্কাশন ২ সাপ্তাহ বন্ধ ছিলো। ফলে প্রকল্প এলাকায় নতুন করে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। ধান রোপনের জন্য প্রস্তুতকৃত ৬০% জমিতে দেড় দুই ফুট পানি এখনও রয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, গত ৭ আগষ্ট থেকে পানি নিষ্কাশন পুনরায় শুরু হয়েছে। এ কার্য্যক্রম অব্যাহত থাকলে ২৫ আগস্টের মধ্যে অবস্থার উন্নতি ঘটবে। তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকার নিম্নাঞ্চলের চাষাবাদে কিছুটা বিলম্ব ঘটলেও বিঘ্নিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
মৌলভীবাজারের মনু প্রকল্পের নিম্নাঞ্চলের রোপা আমন চাষাবাদ নির্ভর করছে কাশিমপুর পাম্প হাউজের সক্রিয়তার উপর
