স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আকবরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে ভূয়া সনদে চাকুরি নিয়েছেন মোঃ রাশেদ মিয়া। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের ম্যানেজ করে তিনি এ নিয়োগ নেন।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মোঃ রাশেদ মিয়া প্রথম দিকে হাফিজিয়া মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন। পরবর্তীতে ভৈরবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং কিছু দিন বিদ্যালয়ে যাওয়া আসাও করেন। ৬ষ্ট শ্রেণীতেই রাশেদ লেখাপড়ার ইতি ঘটান। এদিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদের বিপরীতে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। কিন্তু রাশেদ অষ্টন শ্রেণী পাস না করেও বাম হাতের লেনদের বিনিময়ে ভূয়া সনদে চাকুরি পেয়েছে।
আকবরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, রাশেদ পৌর শহরের মেহেরজান বিবি রহমানীয়া দাখিল মাদ্রাসার সার্টিফিকেট দাখিল করেছেন। সার্টিফিকেটে দেখা যায় রাশেদ ২০০৮ সালে দ্বিতীয় বিভাগে অষ্টম শ্রেণী পাস করেছে। এর সত্যতা যাচাই করতে ৩বার মেহেরজান বিবি রহমানীয়া দাখিল মাদ্রাসায় গেলে কর্তৃপক্ষ রাশেদের হাজিরা খাতা দেখাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
¬¬¬প্রতিবেদক বিদ্যালয়ে গিয়ে রাশেদের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে ২০০৮ সালে মেহেরজান বিবি রহমানীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার কে ছিলেন জানতে চাইলে রাশেদ বলতে পারেনি এবং অষ্টম শ্রেণীতেও তার রোল কত ছিল সেটাও বলতে পারেনি।
মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক হাফেজ আবুল হোসেন প্রতিবেদককে বলেন, “অনেক দিন হওয়ায় হাজিরা খাতা পাওয়া যাচ্ছে না।
আকবরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ বেগম বলেন, রাশেদের নিয়োগের সময় এই পদের প্রতি কারো তেমন আগ্রহ ছিলনা। কিন্তু এখন বেতন ও সুযোগ সুবিধা বাড়ায় অনেক আগ্রহ দেখাচ্ছেন। রাশেদের সনদ ভূয়া কিনা এম প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, এটা আমরা তদন্ত করে দেখিনি।
মৌলভীবাজারে ভূয়া সনদে সরকারি চাকুরী
