স্টাফ রিপোর্টারঃ ১১ দিন পর মৌলভীবাজারের নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের চরম সংকট। গেল কয়েক দিনের বন্যায় ক্ষেত কৃষি ও রাস্তা ঘাট ডুবে যাওয়াতে এখন গো খাদ্য সংকটে পড়েছেন জেলার নদী ও হাওর পাড়ের কৃষিজীবী মানুষ ও খামারীরা। গেল ক’দিন থেকে এ সংকট তীব্র হচ্ছে।
এদিকে গত ১৭ জুলাই মৌলভীবাজার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী ও আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছিলেন গো-খাদ্য কিনার জন্য বন্যা কবলিত প্রতিটি জেলায় ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ নিউজ লেখা পর্যন্ত মৌভলীবাজার জেলায় গো খাদ্য কিনার জন্য কোনো বরাদ্দ আসেনি। গো-খাদ্যের বরাদ্দের কোনো চিঠিও পাননি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। জেলার কয়েকজন খামারী বলেন, বন্যায় আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ১১ দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গো-খাদ্য কিনার জন্য কোনো বরাদ্দ পাইনি। গরুর খাবার নিয়ে চরম বিপাকে তারা।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় বন্যায় ১৪৬ একর ঘাসের জমি ও ৩৫.৫ টন গো-খাদ্য বিনষ্ট হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৩ হাজার ৭’শ ৭৩টি গরু, ১’শ ৩৪টি মহিষ, ১’শ ৯১টি ছাগল, ১’শ ৩৮টি ভেড়া, ২১ হাজার ৯’শ ৩৮টি মোরগ ও ২৬হাজার ৭৩টি হাঁস।
প্রতিবারের মতো এবারও আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে জেলার খামারীরা গরু মোটাতাজা করনের প্রকল্প হাতে নেন। গরুর খাবারের জন্য অনেকেই জমিতে ঘাস চাষ করেছেন। কিন্তু বন্যায় তাদের সব ঘাষ প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। খাদ্য সংকটের কারনে লোকসান দিয়ে অনেকেই এখন গরু বিক্রি করছেন।
সদর উপজেলার শেরপুর, আখাইলকুড়া, চাঁদনীঘাট, রাজনগর উপজেলার কামারচাক, উত্তরভাগ ও কমলগঞ্জ উপজেলার একাধিক খামারী বলেন, কোরবানীতে গরু বিক্রি করে পুরো বছরের লোকসান পুষিয়ে উঠার একটা সুযোগ থাকে। কিন্তু এবার সম্ভব হচ্ছেনা। বন্যায় সম্পূর্ণ ঘাষ নষ্ট হয়ে গেছে। বিকল্প কোনো খাদ্যও নেই। যার ফলে কোরবানীর বাজারের আগেই লোকসান দিয়ে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে।
জেলা পানি সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, বিকল্প খাদ্য দিয়ে এ সংকট পূর্ণ করা সম্ভব। আশাকরি এটায় খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।
Post Views:
0