স্টাফ রিপোর্টারঃ কুলাউড়া জংশন স্টেশনে প্রবেশকালে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দু’টি ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার সকাল ৯ টায় আন্ত:নগর কালনী এক্সপ্রেস এবং শুক্রবার সকাল ১০টায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে দূর্ঘটনা কবলিত হয়। এসময় বিকট শব্দে ট্রেন দূর্ঘটনার ভয়ে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ৮-১০জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্টেশন সুত্রে জানা যায়, শনিবার (২০ জুলাই) সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্ত:নগর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেন সকাল ৯টায় কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশকালে উত্তর পার্শ্বে ‘ঞ’ বগি লাইচ্যুত হয়। এসময় বিকট শব্দ হলে ট্রেনে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এদিকে শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন দুপুর ১২টায় কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশকালে (উত্তর পার্শ্বে) দূর্ঘটনায় পড়ে। কালনির মতো জয়ন্তিকারও ‘ঞ’ বগিটি লাইনচ্যুত হয়। এসময় বিকট শব্দ হলে ট্রেনে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে ৮-১০ জন যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন।
শনিবার জয়ন্তিকা (২য়) দুর্ঘটনার পর রেলওয়ের সহকারি প্রকৌশলী (সিলেট) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শণে আসেন। কিন্তু দুর্ঘটনাস্থলে না গিয়ে কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারের মাধ্যমে গাড়ীতে বসেই কিছু তথ্য নিয়ে কুলাউড়া ত্যাগ করেন। এসময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেননি।
এদিকে টানা দু’দিন দুর্ঘটনার পর যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেন দুর্ঘটনা কবলিত হওয়ার পর যাত্রীরা ভয়ে টিকিট ফেরৎ দিয়ে বিকল্প পন্থায় ঢাকা গেছেন। আবার অনেকে বাধ্য হয়ে বিলম্বে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনেই যাত্রা করেছেন। কুলাউড়া থেকে শুক্রবারে ঢাকার যাত্রী সেলিম আহমদ ও শনিবারে ঢাকার যাত্রী মোতাহির আলম জানান, মনের মধ্যে ভয়, তারপরও বাধ্য হয়ে যাচ্ছি।
কুলাউড়া স্টেশনের এসএসআই (সিগন্যাল) মো. হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানান. প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হিলব্লকের ত্রুটির কারনে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। কারন শুক্রবার জয়ন্তিকা যেভাবে দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছিলো টিক একইভাবে এবং একই হিলব্লকে কালনী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে। তবে তদন্তে বাকিটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
কুলাউড়া স্টেশন মাস্টার মো. মুহিব উদ্দিন জানান, দূর্ঘটনাকবলিত দু’টি ট্রেনই লাইনচ্যুত বগি রেখে দেড় ও দুই ঘন্টা দেরি করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। হতাহতের কোন খবর আমরা পাইনি। ট্রেন চলাচলও বিঘিœত হয়নি। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে হয়তো কোন যাত্রী আঘাত পেতে পারেন।
কুলাউড়া স্টেশনে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দু’টি ট্রেন লাইনচ্যুত
