সরওয়ার আহমদঃ
পদ্মা সেঁঁতুতে ১ লক্ষ নরমুন্ডু প্রয়োজন-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সংবাদ চাউর হবার পর জনান্তিক থেকে জনপদে আতংকের পাশাপাশি তোলপাড় শুরু হয়েছে। সাথে সাথে প্রচারণার পালেও লেগেছে বাতাস। কতিথ নরমুন্ডু সংগ্রাহককে সিলেটি ভাষায় “খুস্কর” বলা হয়ে থাকে। খুস্কর শিশুদের কল্লাকেঁটে নেয়। এই মিথ চালু ছিল ৫/৬ দশক আগ থেকেই। দূরন্ত শিশুকে খুস্কর ভীতি দেখিয়ে ঘুম পাড়ানো হত। সেই পুরানো মিথ এখন নতুন সূরে বেজে উঠেছে চারিদিকে। শুধু শিশু নয়, প্রাপ্ত বয়স্কদেরকেও নাকি শিরñেদ করা হচ্ছে একা পেলে। অত:পর বস্তায় ভরে কল্লার চালান পাঠানো হচ্ছে পদ্মা সেঁতুতে। হালনাগাদ শিরñেদ এর অলীক ঘটনারও খবর প্রচারিত হচ্ছে মুখে মুখে। এ নিয়ে বৈঠকী মন্তবেরও কমতি নেই। পদ্মা সেঁতুর পাইলিং এবং পিলার স্থাপনের কাজ তো শেষ। তাহলে সেঁতুতে এক লক্ষ নরমুন্ডু বসাবে কোথায়? কেহ বলছেন, স্প্যান বসানোরতো বাকি আছে। হয়ত স্প্যান বসানোর সময় ওয়েলডিং এ নরমুন্ডুর দরকার লাগবে। এই ধারনাকে নাকচ করে দিয়ে কেহ বলছেন- সেঁতু নির্মাণে তো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধকতা ছিল। এ প্রকিবন্ধতাকে দূর করার জন্য জলদেবতার নামে এক লক্ষ নরমুন্ডু “মানত” করা হয়েছিল আগেই। এই মানত এখন পূর্ণ না করা হলে পদ্মা সেতু চালুই হবে না। কেউ বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই সংবাদ উর্বর মস্তিকের ডাঙ্গর গবেষণার ফসল। সাঈদীকে চাঁদে দেখা গেছে এই সংবাদটিকে যদি গ্রেনেডের সাথে তুলনা করা হয় তাহলে চলমান এই সংবাদটি নিসন্দেহে স্কাডক্ষেপনাস্ত্রের সমান।
সংবাদ যেখানে স্কাড ক্ষেপনাস্ত্র
