স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারে দাদীকে বেঁধে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মাদ্রাসা ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রাব্বী’র দু’দিনের রিমান্ড শেষে তাকে পূণরায় কারাগারে পাঠিয়েছেন মৌলভীবাজার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১নং আমলী আদালত। বুধ ও বৃহস্পতিবারের দু’দিনের রিমান্ডে প্রধান আসামী রাব্বী ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৌভলীবাজার মডেল থানার এসআই মোঃ এমরান হোসেন। ১নং আমলী আদালতের বিচারক কাজী বাহাউদ্দিন এর আদালতে মঙ্গলবার দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে তিনি ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আরোও বলেন, আসামীর নিকট হতে মামলার ঘটনা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার তদন্ত স্বার্থে এগুলো এখন গোপন রাখা হয়েছে। ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার লক্ষ্যে প্রধান আসামীকে পূণরায় রিমান্ডে নেয়ার সুপারিশ করেন তিনি।
এদিকে সোমবার চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে তাকে আটক করে র্যাব-৯ ও পুলিশের যৌথ অভিযান দল। মামলার দ্বিতীয় আসামী জাহিদ এখনও পলাতক রয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার এজাহার সূত্রে ও ধর্ষিতার মা জানান, গত ১৫জুন কিশোরিকে দাদীর কাছে রেখে আত্মীয়ের বাড়ীতে রোগী দেখতে যান। ১৬জুন গভীর রাতে দাদীর পাশে ঘুমিয়েছিলেন ওই কিশোরী। এ সময় ধর্ষক জাহিদ মিয়া ও রাব্বি মিয়া টিনের বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে দাদীকে বেঁধে ফেলে। পরে কিশোরীকে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে যায়। পরে ধর্ষিতাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, আসামী রাব্বীর চাচা খুরশেদ মিয়া ও স্থানীয় প্রভাবশালি ব্যক্তিরা বিষয়টি ধামা-চাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া ধর্ষিতা মেয়ের পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য প্রাণ নাশের পর্যন্ত হুমকি দেয়া হচ্ছিল।
Post Views:
0