সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বেঁচে আছেন। এরশাদ মারা গেছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন গুজব ছড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে সাবেক এই রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানালেন দলটির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা।
সোমবার (১ জুলাই) জাপা মহাসচিব বেলা একটার দিকে রাজধানীর বনানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
রাঙ্গা বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এরশাদকে দেখতে যাওয়ার কথা ছিল। চোখের সমস্যার কারণে তিনি আসতে পারেননি। তিনি বাসাতেও কাউকে আজ সাক্ষাৎ দিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে পাঠিয়েছিলেন সিএমএইচে।
রাঙ্গা বলেন, ওবায়দুল কাদের এরশাদকে দেখতে তাঁর কাছে গেলে এরশাদ চোখ মেলে দেখেছেন। কিন্তু কথা বলতে পারেননি।
আজ সংবাদ সম্মেলনে এরশাদের ছোট ভাই ও জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, গতকাল আমরা প্রেস ব্রিফিং করার পর বিভিন্ন মহলে গুজব ছড়ায় যে উনি (এরশাদ) জীবিত নেই। উনি একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তাঁর ব্যাপারে সারা দেশের মানুষের উৎকণ্ঠা, কৌতূহল ও আবেগ আছে।
কাদের বলেন, আজ সকাল পর্যন্ত—চিকিৎসকদের ভাষায়—এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। এর অর্থ শুভ লক্ষণ। সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে ওনার ফুসফুসের যে ইনফেকশন আছে, সেটা এখন ভালোর দিকে। দুই ঘণ্টা পরপর তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।
কাদের বলেন, এরশাদের কিডনিতে ইনফেকশন হয়েছে। সেটার ফাংশনে একটু সমস্যা হচ্ছে। সব মিলিয়ে তিনি শঙ্কামুক্ত নন।
এরশাদের মৃত্যুর খবর দিয়ে দুজন মন্ত্রীর দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসের বিষয়ে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কাদের বলেন, আজকাল অনেকের ভুয়া আইডি বের হয়েছে। আবার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অনেকের আইডি অন্যরা পরিচালনা করেন। সেটা যা–ই হোক, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কিছু না হয়, সেটার অনুরোধ করব।
জি এম কাদের বলেন, সিএমএইচ কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা প্রয়োজনে আইএসপিআরের মাধ্যমে এরশাদের শারীরিক অবস্থাসংক্রান্ত সংবাদ পরিবেশন করবে।
জি এম কাদের সাংবাদিকসহ সব সবার প্রতি অনুরোধ করেছেন, না জেনে কোনো ধরনের সংবাদ যেন কেউ প্রচার না করেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য এরশাদকে বাইরে পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্ন করলে কাদের বলেন, চিকিৎসকেরা এ বিষয় কোনো পরামর্শ এখনো দেননি। তাঁর যে শারীরিক অবস্থা, সেই অবস্থায় এটা সঠিক হবে বলে মনে হয় না।
প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাংসদ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, রংপুর সিটি করপোরেশনের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান।