ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারে ৩ কলেজ ছাত্রী’র শ্লীলতাহানি ও যৌন হয়রানীর অভিযোগে পাওয়া গেছে। এঘটনায় ৪ জনের উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জন সহ ৭জনকে আসামী করে মঙ্গলবার মৌলভীবাজার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন এক কলেজ শিক্ষক।
ঘটনার বিবরণ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার পৌর শহরের সোনাপুর বড়বাড়ি শফিকুর রহামান শফিকের বাড়িতে ভাড়াটিয়া মেসে থাকতেন মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী জাহানারা আক্তার জুলি, সরকারী কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সুইটি রাণী দেব ও বিউটি রাণী দেব। দীর্ঘদিন থেকে কলেজে আসা যাওয়ার পথে গতিপথ রোধ করে প্রেম প্রস্তাব, নানা অশ্লীল কথা ও অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাদের উত্ত্যক্ত করত ওই এলাকার নাভেদ (১৮), সায়েম (২৪), মুন্না (২২) ও লোকমান (২৪)।
সোমবার বিকেলে সুইটি রাণী দেবী কলেজের ইনকোর্স পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফেরার পথে রুমে প্রবেশের পূর্বে ওঠানে বসে থাকা নাভেদ আহমদ তার সহযোগী সায়েম, মুন্না ও লোকমান তাকে উদ্দেশ্য করে নানা অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলে। এসময় সুইটি বাসায় থাকা তার অন্য দুই সহপাঠী জুলি ও বিউটিকে ঘটনাটি বলে। তারা ৩ জন ঘর থেকে বের হয়ে একসাথে এঘটনার প্রতিবাদ জানালে নাভেদ ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে জুলি আক্তারের চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে তার শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত বুলিয়ে যৌন নিপিড়ন করে। এ সময় জুলির সহপাঠী সুইটি ও বিউটি প্রতিবাদ জানালে সায়েম, লোকমান ও মুন্নাসহ আরো ২-৩ জন তাদের দু’জনকে কিল ঘুষি ও লাথি মেরে তাদের জখম করে। মারধর করে ও তাদের পরনের কাপড় খুলে নেওয়ার চেষ্ঠা করে এবং তাদের শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত বুলিয়ে যৌন নিপিড়ন করে। এরপর তারা ঘটনাটি মুঠোফেনে সুইটি ও বিউটির খালাত ভাই কাশিনাথ আলা উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক সুমন কান্তি দেব নাথ কে জানালে তিনি তার কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বাড়ির মালিক ও নাভেদ আহমদের চাচা শফিকুর রহমানের কাছে বিচার প্রার্থী হন। এই খবর শোনে নাভেদ আহমদসহ তার অন্যান্য সহযোগীরা যৌন হয়রানীর শিকার ওই ৩ জন মেয়ে শিক্ষার্থীসহ উপস্থিত সকলকে গালিগালাজ করে হেনেস্ত করে এবং তারা হুঁশিয়ারীদিয়ে বলে এনিয়ে মামলা মোকদ্দমা ও বাড়াবাড়ি করলে সবাইকে খুন জখমের ভয়ভীতি দেয়। এই ঘটনার পর সুমন কান্তি দেবসহ উপস্থিত সকলেই আহত জুলি, সুইটি ও বিউটি কে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
এবিষয়ে মামলার বাদী শিক্ষক সুমন কান্তি দেব নাথ মুঠোফোনে বলেন ওই বখাটেদের কারনে তারা ৩ জনই সবসময়ই ভয়ের মধ্যে থাকত। সোমবার বিকেলে ওই ভখাটেরা তাদের সেই ভংকর রুপ দেখাল। আমরা এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত।
মৌলভীবাজারে ৩ কলেজ ছাত্রী’র শ্লীলতাহানির অভিযোগ
