ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপলে নৌকাডুবির ঘটনায় আজিজুর রহমান রুকুল নামের মৌলভীবাজারের এক যুবক নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ আজিজ সদর উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের কালিয়ারগাঁও গ্রামের মৃত সাদিকুর রহমানের ছেলে।
আজিজুর রহমান রুকুল এর বড় ভাই মোঃ মুহিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা ৫ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে রুকুল সবার ছোট। রুকুল নিখোঁজ রয়েছেন তবে মৃত্যুর বিষয়টি তিনি এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি।
তিনি আরো বলেন, ২০১৭ সালে জুন মাসে আজিজ ইতালি যাওয়া জন্য সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার কাইয়ুম নামের এক দালালের সাথে চুক্তি করি। চুক্তি অনুযায়ী দালালকে ২ লক্ষ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু লিবিয়াতে নিয়ে ৩ মাস রাখার পর ইতালিতে পাঠায়নি। পরবর্তীতে দালাল কাইয়ুম লিবিয়ার আরেক দালালের কাছে আমার ভাইকে বিক্রি করার পরিকল্পনা বুঝে আজিজ পালিয়ে যায়। কয়েক দিন পর এ বিষয়টি নিয়ে বালাগঞ্জের দালাল কাইয়ুরেম ভাই’র সাথে কথা হলে সে বলে আমিও ইতালিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আজিজকে আমার সাথে দেন। নিরাপদে ভালো রাস্তায় নিয়ে যাব। তার কথার উপর বিশ্বাস করে তাকেও ২ লক্ষ টাকা দেই। কিন্তু সেও টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমার ভাই আজিজ মাঝে মধ্যে কাজ করে কোনো রকম লিবিয়ায় আছে। চলতি বছরের জানুয়ারীর দিকে সে আবার মাদারীপুরের একজন দালালের মাধ্যমে ইতালিতে যাওয়ার কথা বলে। একথা বলার পর আমরা থাকে যেতে বাধা দেই। কিন্তু সে আমাদের কথা না শুনে ক্যাম্পে চলে যায়। সেখানে যাওয়ার পর মাদারীপুরের ওই দালালকে ২ লক্ষ টাকা দেয়া হয়। কিন্তু আজ কাল বলে ৩ মাসেও তাকে ইতালি নিতে পারেনি। ওই সময়ে বাড়ি থেকে প্রতি সপ্তাহে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হয়েছে। সর্বশেষ ৮ মে রাত ৮.১০ মিনিটে মোবাইল ফোনে সে আমাকে জানায় এখন রওয়ানা দিচ্ছি ইতালি যাওয়ার পথে। এরপর থেকে আমার ভাইয়ের সাথে আর কোন যোগাযোগ নেই। তিনি কথা বলার এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
নিখোঁজ রুকুলের ভাতিজা মোঃ আলমগীর মিয়া সকালে মোবাইল ফোনে বলেন, আমার চাচা লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে নিখোঁজ রয়েছেন। বাড়িতে সবাই কান্নাকাটি করছেন।
এদিকে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য রুমান আহমদ বলেন, আমার গ্রামের সবাই নিখোঁজ রুকুলের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন খোজ খবর নেয়ার জন্য। গ্রামের মানুষ শোকে স্তব্ধ।
Post Views:
0