বাস চাপায় মৌলভীবাজারের শেরপুরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঘোরী মোঃ ওয়াসিম আব্বাসকে হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা হত্যা মামলা থেকে চালক ও হেল্পারকে অব্যাহতি সহ ৭ দফা দাবিতে এবং মামলায় দেয়া ৩০২ ধারার পরিবর্তে ৩০৪ যুক্ত করার দাবী সিলেট বিভাগে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে শ্রমিকরা। যার ফলে শ্রমিক ধর্মঘটে চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। কিছু কিছু কর্মজীবি মানুষও সীমাহিন ভোগান্তিতে কর্মস্থলে পৌছেন আবার অনেকেই রাস্তায় আটকা পড়েন। সকাল থেকে শ্রমিকরা যানবাহন বন্ধ রেখে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হয়রানিতে পড়া সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, ঘোরি মোঃ ওয়াসিম আব্বাস হত্যার ঘটনায় সিকৃবির প্রক্টর প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড ২৫ মার্চ ৩০২/৩৪ ধারায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২২)। মামলায় আসামী করা হয়েছে, বাস চালক জুয়েল আহমদ (৩০), হেল্পার মাসুক মিয়া (৩১) ও সুপারভাইজার শেফুল মিয়া (৩৫) কে।
শিক্ষার্থী ‘হত্যাকারী’ সেই চালক ও সহকারীর পক্ষে ধর্মঘটে নেমেছে পরিবহন শ্রমিকরা। শ্রমিকরা চালক ও সহকারীকে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানসহ ৭ দফা দাবিতে মৌলভীবাজার সহ সিলেট বিভাগে ২৯ এপ্রিল সোমবার সকাল-সন্ধ্যা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়। যার কারণে মৌলভীবাজার জেলার সাথে সবকটি উপজেলার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। শহরের চাঁদনীঘাট, কুসুমবাগ, শমসেরনগর সড়ক ও ঢাকা-সিলেট বাসস্ট্যান্ডে সিএনজি, ট্রাক ও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ ছিল।
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ জানান, মামলার এজাহারে ৩০২ ধারা যুক্ত করা নিয়ে তাদের আপত্তি। ৩০২ ধারার পরিবর্তে ৩০৪ যুক্ত করার দাবী তাদের। শ্রমিকদের ৭ দফা দাবি হল, এক জেলার গাড়ি অন্য জেলায় রিকুজিশন না করা এবং রিকুজিশনকালীন সময়ে শ্রমিকদের খুরাকি ও ফুয়েল প্রদান করা, সড়ক তল্লাশির নামে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে পুলিশি হয়রানী বন্ধ করা, রাত্রী বেলায় ট্রাক চেকিং বন্ধ করা, একাধিক স্থানে গাড়ি চেকিং না করে জেলার নির্দিষ্ট কোনো স্থানে গাড়ি চেকিং করা, রেজিষ্ট্রেশন বিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশা বন্ধ করা, রেকারিং এর নামে পুলিশ চাঁদাবাজি বন্ধ করা ও সড়ক মহা-সড়কে বিভিন্ন সেতুতে টোল আদায় বন্ধ করতে হবে।
সাদিকুর রহমান নামের মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ধর্মঘটের কারনে সময় মতো পরীক্ষার হলে উপস্থিত হতে পারিনি।
এবিষয়ে জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সঞ্জিত কুমার দেব বলেন, দাবি মানা না হলে রোজার পরে আবারও আন্দোলন চলবে।
Post Views:
0