ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার টাউন কামিল সিনিয়র মাদ্রাসায় চলতি কামিল প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ভাইভা পরীক্ষায় ২৪৩ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জনপ্রতি ৩শ’ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে টাকা দিয়ে মাদ্রাসার তৃতীয় তলা থেকে পরীক্ষার্থীরা ইংরেজি শিক্ষক নুরুল ইসলাম ও অফিস সহকারী জুনেদ আহমদের কাছ থেকে স্লিপ সংগ্রহ করতে দেখা যায়। স্লিপে টাকা গ্রহণকারী শিক্ষকের স্বাক্ষর ও শিক্ষা বর্ষ লেখা ছিল।
সরেজমিন মাদ্রাসায় দেখা যায়, প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় সকাল থেকে ভাইভা নেয়া হয়। এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের হাতে একটি স্লিপ দেখা যায়। স্লিপে শিক্ষাবর্ষ ও টাকা গ্রহণকারী শিক্ষকের স্বাক্ষর দেখা যায়। এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা চলাকালিন সময় শিক্ষকরা হলে এসে বলেন গত বছর টাকা নেয়ায় আমাদের সমস্যা হয়েছে। এবার আমরা টাকা নেব না। তোমরা নিজেরা ভাইভার ব্যবস্থা কররা। এরপর আবার ওই শিক্ষকরাই তাদের অনুসারী কয়েকজন শিক্ষার্থীর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীদের দিয়ে ভাইভার প্রস্তুতি মডেল টেষ্ট ক্লাসের জন্য অধ্যক্ষ বরাবর একটি আবেদন করান এবং ভাইভার ক্লাস বাবত প্রতিজন পরীক্ষার্থী ৩’শ টাকা দেবে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সামছুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য বছর টাকা নেয়া হত কিন্তু এবার নেয়া হয়নি। তবে ১ম ও ২য় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভাইভার মডেল টেষ্ট ক্লাস করানো শিক্ষকদের সম্মানি বাবত তাদের কাছ থেকে ৩’শ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। পরবর্তীতে রুটিন অনুযায়ী শিক্ষকরা ৫দিন ক্লাস করান।
মৌলভীবাজারে ভাইভার প্রস্তুতি ক্লাসের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ
