স্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা পরিষদের গত নির্বাচনে মাত্র ৫ ভোটে পরাজিত হন মুক্তি চক্রবর্ত্তী। মুক্তি চক্রবর্তীর অভিযোগ তিনি ফেল করেননি পরিকল্পিত ভাবে তাকে ফেল করানো হয়েছে। গণরায় তার পক্ষে এসে ছিল। জনগনের সেবা করতে তিনি প্রস্তুতও ছিলেন। কিন্তু একটি কুচক্রি মহলের কারনে তিনি বিজয়ের মালা পড়তে পারেননি। কিন্তু এর পরেও হাল ছাড়েননি তিনি। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি তিনি।
আওয়ামীলীগ পরিবারের সদস্য মুক্তি চক্রবর্তী রাজনগর উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কৃষক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। পঞ্চাশ উর্ধ্ব এই মহিলা জীবনের শেষ সময়ে এসেও সংগঠনের নীতি ও আদর্শকে লালন করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। সাংসারিক কাজের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত সময় দিচ্ছেন এলাকার অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে। বিশেষ করে চা শ্রমিকদের উন্নয়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, ২০১৪ সালের নির্বাচনে মুক্তি চক্রবর্তী কলস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে ২৯ হাজার ৯’শ ৪৫টি ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী বর্তমান উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মোছাঃ ডলি বেগম পদ্মফুল প্রতীক নিয়ে পান ২৯ হাজার ৯’শ ৫০টি। ৫ ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হন।
আগামী উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মুক্তি চক্রবর্তী প্রতিবেদকে বলেন, “সুষ্ট ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এবার জনগণ আমাকে ভোট দেবে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই”।
রাজনগরে জীবনের শেষ সময়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চান মুক্তি চক্রবর্তী
