কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
বসত ঘর নির্মাণের জমি দাবি করে না পেয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগানের প্রায় ৭০ একর প্লান্টেশন এলাকার জমি জবর দখল করে নামধারী শ্রমিকরা ঘর নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) প্রথম দফা ব্যর্থ হয়ে সোমবার (২১ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দফা একদল চা শ্রমিক এ চা বাগানের প্লানেটশন এলাকা জবর দখল করে বসতঘর নির্মাণ করেছে।
জানা যায়, এ বাগানের চা শ্রমিক মুন্না ভর,গোপাল নুনিয়া, রামহরি নুনিয়া, অখিল বাগতি, কানাই রবিদাসসহ শতাধিক চা শ্রমিক মিলিত হয়ে গত ২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ৭ নম্বর প্লান্টেশন এলাকা জবর দখল করেছিল। দখলকারী চা শ্রমিকরা প্রথমে কিছু এলাকা চা গাছ উপড়ে ফেলে সেখানে বসতঘর নির্মাণ শুরু করলে চা বাগান কর্তৃপক্ষ এ চা বাগানের ৯ নম্বর সেকশনের পতিত জমিতে বসত ঘর নির্মাণের কথা জানালে কিছু চা শ্রমিক সেখানে গিয়ে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করে।
পুনরায় সোমবার(২১ জানুয়ারী) সকালে আবার, মাধবপুর চা বাগানের শ্রমিক রামহরি নুনিয়া, সুমন নুনিয়া সাধন বাগতি, রাধেশ্যাম দাশ, পলাশ শীল,মুন্না ভরের নেতৃত্বে একদল শ্রমিক ৭ নম্বর সেকশনের ৭০ একর প্লান্টেশন এলাকা দখল করে চা গাছ উপড়ে ফেলে সেখানে বসত ঘর নির্মাণ শুরু করে। তাদের দাবি চা বাগান ব্যবস্থাপক ৯ নম্বর সেকশনের পতিত জমিতে বসত ঘর নির্মাণের কথা বললেও সে জমি বন্যা কবলিত ও দূরবর্তী এলাকা। সেখানে তারা বসত ঘর নির্মাণ করবেন না। তাই ৭ নম্বর সেকশনের উঁচু জমিতে তারা বসত ঘর নির্মাণ করছেন।
মাধবপুর চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মুরাদ চৌধুরী বলেন, প্রথম দফায় এ চা বাগানের ৭ নম্বর প্লান্টেশন এলাকার জমি জবর দখল করে চা শ্রমিকরা বসত ঘর নির্মাণ শুরু করেছিল। তখন তাদের বুঝানোর পর চা শ্রমিকরা জমির দখল ছেড়ে দিয়েছিল। অনেক শ্রমিক আবার ৯ নম্বর সেকশনের পতিত জমিতে বসত ঘর নির্মাণ করে বসবাসও শুরু করেছে। সোমবার আবার একদল চা শ্রমিক ৭ নম্বর সেকশনের প্রায় ৭০ একর জমির দখল নিয়ে সেখানে বসতঘর নির্মাণ শুরু করে। এদের বেশীর ভাগই নিবন্ধিত চা শ্রমিক নয়। বিষয়টি তিনি কমলগঞ্জ থানাকে অবহিত করেছেন বলেও জানান। তিনি আরও বলেন,তারা আগে আবেদন করেছিল বলে মানবিক কারণে তাদেরকে ৯ নম্বর সেকশনের জমিতে বসত ঘর নির্মাণের কথা বলা হলে কিছু শ্রমিক সেখানে গিয়ে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। আর একটি অংশ সে সুযোগ গ্রহন না করে তারা সোমবার জোর পূর্বক ৭ নম্বর সেকশন দখল করে রোপিত চা গাছ উপড়ে ফেলে অবৈধভাবে সেখানে বসত ঘর নির্মাণ করছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান ঘটনাটি শুনেছেন বলে জানান। তিনি আরও বলেন মাধবপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ এখন ও লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
Post Views:
0