কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। রোববার ভোররাতে গ্রেফতার করা হয়েছে ধর্ষন মামলার একমাত্র অভিযুক্ত মুরগী ব্যবসায়ী রুশন মিয়াকে।
কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক চম্পক দামের নেতৃত্বে সহকারী উপ-পরিদর্শক আব্দুল হামিদ ও আনিছুর রহমানসহ পুলিশের একটি দল সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার বাঁশতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে নির্যাতিত শিশুটির মা বাদি হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে কমলগঞ্জ থানায় ধর্ষণের মামলা করেন কমলগঞ্জ থানার মামলা নং ০৪, তাং ০২/০১/২০১৯ইং)।
অভিযোগ পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কমলগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক চম্পক দাম একাধিকবার মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সাথে কথা বলেন এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করেন। তিনি জানান ‘প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এখন বাকি হাসপাতালের ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন।’
অভিযোগের বিবরনে জানা যায়, ভানুবিল গ্রামের রুশন মিয়া ভোটের দিন রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে ছনগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে (১১) ডেকে নিয়ে পাশ্ববর্তী কামারছড়া রাবার বাগানের ভেতরে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর গ্রামবাসী শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারলেও অভিযুক্ত রুশন মিয়া পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আরিফুর রহমান জানান, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর মূল আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে ডাক্তারি রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। গ্রেফতারকৃত আসামী রুশন মিয়াকে রোববার দুপুরে মৌলভীবাজার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক জানান, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে দরিদ্র নির্যাতিতা স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবারকে আর্থিক ও আইনী সহায়তা প্রদান করা হবে।
Post Views:
0