কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিক বরাদ্দের পর থেকেই এই আসনের প্রার্থীরা ভোটের লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে দিন রাত অবিরাম জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করে নিজের প্রতিকে ভোটারদের কাছ ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসনে এবার ভোটের লড়াইয়ে ৪ জন প্রার্থী মনোনয়ন দিলে ও ১ জন(গণফোরমের প্রার্থী) শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এখন মাঠের লড়াইয়ে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারা হচ্ছে আওয়ামীলীগ থেকে ৫ বারের সাংসদ উপাধক্ষ্য ড.মোঃ আব্দুস শহীদ(নৌকা), বিএনপি থেকে আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান (ধানের শীষ) ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা সালাউদ্দিন (হাতপাকা)। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৯৩৫। কমলগঞ্জে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪শ ও শ্রীমঙ্গলে ২ লাখ১৯ হাজার ৫৩৫ জন। কমলগঞ্জে ৭২ও শ্রীমঙ্গলে ৮০টি ভোট কেন্দ্র রযেছে। আসনটিতে ৩ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করলে ও মূল লড়াই হবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে। এছাড়া ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে কোথাও -কোথাও কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেখা গেছে। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে দিনরাত সমান তালে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছে। উঠান বৈঠক ও গন সংযোগের মাধ্যমে নিজের পক্ষে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন, সেই সাথে নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
কার্যত কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল এলাকায় নির্বাচনি উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে। দলীয় সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে মাইকিং। মাইকিংয়ে বিভিন্ন ব্যান্ডের গান রিমিক্স করে প্রার্থী ও প্রতিকের পক্ষে গান গেয়ে বিনোদন দিচ্ছে। সেই সাথে পোষ্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনি এলাকা। আওয়ামীলীগের মধ্যে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে বর্তমান প্রার্থী আব্দুস শহীদ ও আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমানকে কেন্দ্রে করে বিভক্তি দেখা দিয়েছিল। তা এখন কাঠিয়ে উঠে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমানের অনুসারী কে কেন্দ্র করে কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল এলাকায় বিভক্তি ছিল। তারা তাদের মধ্যের বিভক্তি দুর করে এখন ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করছেন। এই আসনে ছোট -কাট কিছু বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বিঘেœই সকল দল প্রচার – প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত এই অবস্থা বিরাজ করবে বলে সকল দলই মনে করছেন। আসনটিতে যদি ও ৩ জন প্রার্থী প্রতিদন্ধিতা করছেন তবে মূল লড়াই হবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই।