কুলাউড়া প্রতিনিধি:
কুলাউড়া পৌর শহরের প্রধান সড়কে দিন দুপুরে প্রকাশ্যে নিজের স্ত্রীকে উপর্যুপরিভাবে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করলেন এক স্বামী। শনিবার ২২ ডিসেম্বর বিকেলে শহরের দক্ষিণ বাজারে ডাকঘরের সম্মুখ সড়কে এ ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের রংগীরকুল গ্রামের মর্তূজা হোসেনর ছেলে শাহ আমানত হোসেন বিয়ে করেন কর্মধা ইউনিয়নের নতুন বস্তিতে। শনিবার বিকেলে শাহ আমানত হোসেনের স্ত্রী হাকিমা বেগম (২৯) পিতার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্বামীর বাড়ি থেকে রওয়ানা দেন। এসময় গৃহবধু সাথে তার ছোট ভাই ও বোন ছিলেন। রঙ্গিরকুল থেকে সিএনজি অটোরিকশায় কুলাউড়া শহরের উত্তরবাজারে এসে নামেন। সেখান থেকে পায়ে হেটে শহরের দক্ষিণবাজারে বাস স্ট্যান্ডে রওয়ানা দেন। দক্ষিণবাজারে ডাকঘর অফিসের সম্মুখ সড়কে পৌঁছা মাত্র পেছন থেকে দা হাতে তেড়ে আসেন তার স্বামী আমানত হোসেন। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকেন স্ত্রী হাকিমাকে। এসময় পার্শ্ববর্তী সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের চালক ও স্থানীয়রা এসে আমানতকে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। ঘটনাস্থলেই দায়ের কুপে হাকিমার ২ হাতের চারটি আঙ্ুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহতবস্থায় হাকিমাকে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। আহত গৃহবধুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত ডাক্তার।
কুলাউড়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জাকির হোসেন বলেন, হাকিমা বেগমের মাথায় ৪টি দায়ের কুপ রয়েছে। এছাড়াও হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন ও হাতের কব্জিতে দায়ের কুপ রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
কুলাউড়া থানার এসআই মোঃ খালেদ হোসেন বলেন, আটক আমানত হোসেন স্ত্রীকে কি কারণে কুপিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। বিষয়টি পরবর্তীতে আমানতকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তক্রমে জানা যাবে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চত করে বলেন, হাকিমার স্বামী আমানতকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Post Views:
0