কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের কিছু নেতাকর্মীর বাঁধার মুখে মৌলভীবাজার-৪ আসন (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল)-এর কমলগঞ্জে বিএনপির প্রার্থী হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরীর পক্ষের ৩টি উঠান বৈঠক পন্ড হয়ে যায়।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে কমলগঞ্জের ৩টি পৃথক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটেছে। বিএনপি কমলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ও বিএনপি প্রার্থী হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান দুরুদ আলী, উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন ও কমলগঞ্জ পৌর যুবদল আহ্বায়ক পৌর কাউন্সিলর জামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সন্ধ্যা রাত ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে নগর,ফুলবাড়ি চা বাগান ও বটতলা এলাকায় ৩টি উঠান বৈঠক ছিল। বিএনপির প্রার্থী হাজী মুজিবের নির্বাচনী এই ৩টি উঠান বৈঠকের জন্য সকল প্রকার আয়োজন সম্পন্ন করার হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কমলগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড নগর এলাকায় প্রথমে উপজেলা যুবলীগ সদস্য জাহিদ মিয়া বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগ নেতা সাইদুল হক এসে উঠান বৈঠক করতে পারবেন না বলে বাঁধা দেয়। তার পরও উঠান বৈঠক করার চেষ্টা করা হয়ে মারপিট করতে তারা বাধ্য হবে বলে হুমকি দিয়ে আয়োজন স্থলের চেয়ার নিয়ে যেতে চায়।
রাত ৮টায় একইভাবে কমলগঞ্জ ইউনিয়নের ফুলবাড়ি চা বাগানে বিএনপির প্রার্থী হাজী মুজিবের পক্ষে উঠান বৈঠকের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়। আর তখনই আওয়ামীলীগ কর্মী কালা মিয়া ও আব্দুল হান্নান এসে এই উঠান বৈঠক না করতে আপত্তি জানায়। উঠান বৈঠক করলে সমস্যা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা। ফলে ফুলবাড়ি চা বাগানে বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে উঠান বৈঠক পন্ড হয়ে যায়। রাত ৯টায় আবার কমলগঞ্জ ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় বিএনপির প্রার্থী হাজী মুজিবের পক্ষে উঠান বৈঠক করতে গেলে আওয়ামীলীগ সদস্য বদরুল হোসেন (জেনার) ও ইউপি সদস্য সুরমান আলীর প্রতিবন্ধকতার কারণে উঠান বৈঠকটি পন্ড হয়ে যায়।
বিএনপি কমলগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি দুরুদ আলী আরও বলেন, বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারনা ও গয় সংযোগ যাতে না হয় সে জন্য কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের উদ্যোগে পরিকল্পনা মাফিক দল গঠন করেই এ ধরনের বাঁধার সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিষয়টি সহকারী রিটার্নিং অফিসার আর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়ে লাভ হচ্ছে না।
কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও আ,লীগ প্রার্থী উপাধ্যক্ষ ড. এম এ শহীদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক রফিকুর রহমান বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ তিনি শুনেননি। তার দলের পক্ষে কেউ এ ধরনের বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে বলে তিনি মনে করেন না।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, এ ধরনের বাঁধা সৃষ্টিও বিষয়টি তিনি জানেন না। কেউ তাকে অভিযোগ করেনি। তার পরও খোঁজে দেখছেন বলেও তিনি জানান।
আওয়ামীলীগের বাঁধার মুখে কমলগঞ্জে বিএনপির প্রার্থীর ৩টি উঠান বৈঠক পন্ড
