জুড়ী উপজেলা সংবাদদাতাঃ
মৌলভীবাজারের জুড়ী পৌর শহরে দোকানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে কামাল হোসেন (২৪) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গতকাল রাতে পৌর শহরের ”জুড়ী জেনারেটর সার্ভিস’ নামক মাইকের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামাল কাটালতলি গ্রামের বাসিন্দা,আওয়ামীলীগ কর্মী জামাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক,উপজেলা যুবদলের সহ-প্রচার সম্পাদক মুজিবুর রহমান রানাকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তথ্য নিয়ে জানা যায়,কামাল হোসেন দীর্ঘদিন থেকে ‘জুড়ী জেনারেটর সার্ভিস’ নামক মাইকের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করছিল। গতকাল (১২ ডিসেম্বর) রাতে কাজ শেষে সে বাসায় না গিয়ে দোকানেই থেকে যায়। রাতের আধারে দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে এবং এতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে কামাল হোসেন মারা যায়। আজ ভোরে পুলিশ দোকান থেকে তার আগুনে পোড়া মৃত দেহ উদ্ধার করে। এসময় নিহত কামালের পিতা জামাল হোসেন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বদরুল হোসেন,সিনিয়র নেতা আব্দুল কাদির দারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন,এটা কোনো দূর্ঘটনা নয়। নিশ্চয়ই এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। দোকান মালিক মুজিবুর রহমান রানা অন্যকে ফাঁসানোর জন্য আগুন লাগিয়ে কামালকে হত্যা করতে পারে। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ এবং পুলিশি তদন্তে এ ঘটনার রহস্য বের হবে।’
স্থানীয়রা জানান,বিকাল ৫ টায় নিহত কামালের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
থানা সূত্র জানায়,রাত ৭ টায় নিহতের পিতা জামাল হোসেন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় প্রধান এবং একমাত্র আসামী করা হয়েছে মুজিবুর রহমান রানাকে। তিনি উপজেলা যুবদলের সহ প্রচার সম্পাদক এবং পৌর শহরের আমতৈল গ্রামের অস্থায়ী বাসিন্দা। তার পৈতিক নিবাস বিয়ানীবাজার উপজেলার দাসউরা (রজব) গ্রামে। পিতার নাম ওয়াতির আলী কটই। জুড়ী পৌর শহরে ‘জুড়ী জেনারেটর সার্ভিস’ এবং ‘সানাই পুষ্প এন্ড শেরওয়ানী হাউজ’ নামে দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তিনি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
জুড়ী থানার ওসি রবিন চন্দ্র জানান,নিহতের পিতা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে মামলাটি তদন্ত করছে। ঘটনার পর থেকে আসামী মুজিবুর রহমান পলাতক। তাকে ধরতে অভিযান চলছে।’