স্টাফ রিপোর্টার:
এবারের নির্বাচনে বিএনপি থেকে মৌলভীবাজারের ৪টি আসনে যারা লড়ছেন সবার চেয়ে বয়সে ও রাজনীতিতে জৈষ্ঠ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী। মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা ও জুড়ী) আসন থেকে ১৯৮৮, ৯১, ৯৬ ও ২০০১ সালে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চা বাগান ও আওয়ামীলীগ অধ্যুষিত এ আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে বিজয়ী হবার রেকর্ড কেবল মাত্র তারই। আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান হুইপ ও তিন বারের এমপি শাহাব উদ্দিনের সাথে লড়ার একমাত্র যোগ্যতা সম্মন্ন ও সর্বস্থরের মানুষের জনপ্রিয় প্রার্থী এডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী। বিএনপির তৃণমূলের নেতারা বলছেন, ওই আসনে বিএপি’র প্রার্থী হিসেবে এবাদুরকে ধানের শীষ না দিলে ভরাডুবি হবে দলটির। নৌকার প্রার্থী হুইপ শাহাব উদ্দিনের সাথে মৌলভীবাজার-১ আসনে লড়ার মতো অন্য কোনো প্রার্থী নেই।
এ ব্যাপারে একান্ত আলাপকালে এবাদুর রহমান চৌধুরী প্রতিবেদককে বলেন, এলাকার মানুষ ভালবেসে চার বার আমাকে এমপি বানিয়েছে। একবার উপমন্ত্রীর মর্যাদায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও একবার দেশের প্রতিমন্ত্রী ছিলাম। বড়লেখা-জুড়ীবাসীর ভালবাসার ঋণ শোধ করবার ক্ষমতা আমার নাই। এখন এ জীবনের ৭৬ বছর বয়সে ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। পরিবারের কোন সন্তান বা স্বজন রাজনীতিতে নাই।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আমাকে মন্ত্রী বানিয়ে বড়লেখা জুড়ীবাসীকে সন্মানিত করেছিলেন। আজ তিনি জেলে। দল দুর্দিনে। আসন্ন নির্বাচন বেগম জিয়া ও গনতন্ত্র, বাক স্বাধীনতাকে মুক্ত করার জন্যই আমার প্রার্থী হওয়া।
মৌলভীবাজার-১ আসন ভোটের মাঠে মৌলভীবাজারের মুরব্বী
