বড়লেখা প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বর্ণি এম মন্তাজিম কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিনের আশ্বাসে মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) থেকে তারা ক্লাসে যোগদান করবে বলে জানা গেছে। সহপাঠি প্রান্ত দাস (১৮) এর মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের দাবিতে গত পাঁচদিন ধরে ক্লাস বর্জন করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিল তারা।
জানা গেছে, উপজেলার বর্ণি এম. মন্তাজিম কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী প্রান্ত দাসকে (১৮) পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ এনে গত বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করে আসছিল তার সহপাঠিরা। এরই ধারাবাহিকতায় তারা সোমবার (০৫ নভেম্বর) সকালে প্রান্ত হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি নিয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে পৌরশহরের পাখিয়ালাস্থ বাসভবনে দেখা করেন। এসময় এম মন্তাজিম আলী কলেজের শিক্ষার্থী জাবের আহমদ, নাহিদ আহমদ ও সাবিনা বেগম তাদের বক্তব্যে প্রান্ত দাস হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানান। হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন এমপি তাদের বলেন, প্রান্ত দাসের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হুইপের এমন আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জনের সিদ্বান্ত প্রত্যাহার করে মঙ্গলবার (০৬ নভেম্বর) থেকে ক্লাসে যোগদানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসময় বর্ণি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উপাধ্যক্ষ একেএম হেলাল, কাউন্সিলর জেহিন সিদ্দিকী, আওয়ামী লীগ নেতা জুবের আহমদ, আব্দুর নুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানিমুল ইসলাম তানিম, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমদ ও প্রান্তের বড় ভাই শুভ দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, নিখোঁজের দুইদিন পর গত বুধবার (৩১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের নয়াগ্রাম এলাকায় ফুফা মৃত করুণাময় দাসের বাড়ির পরিত্যক্ত রান্নœাঘরের জানালার গ্রিলের সাথে মুখ বাঁধা ও দাঁড়ানো অবস্থায় পুলিশ প্রান্তের লাশ উদ্ধার করে। প্রান্ত উপজেলার বর্ণি এম. মুন্তাজিম আলী কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের সনত দাসের ছেলে। প্রান্ত দাস দীর্ঘদিন ধরে ফুফতো ভাই সুমন দাসের পরিবারের সঙ্গে থেকে বর্ণি এম. মুন্তাজিম আলী কলেজে পড়াশোনা করতেন।