কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
৪দফা দাবিতে মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নে ন্যাশনাল টি কোম্পানীর(এনটিসি) মালিকানাধীণ ৩টি চা বাগান কুরমা, বাঘাছড়া ও কুরুঞ্জী চা বাগানের ১৪ শ চা শ্রমিক গত শনিবার (২০ অক্টোবর) থেকে অনির্দিষ্ট কর্মবিরতি শুরু করেছিল।
রোববার সন্ধ্যার পর থেকে ৩টি চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটি ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে রাত ১২টা পর্যন্ত চলা সমঝোতা বৈঠক শেষে সোমবার (২২ অক্টোবর থেকে ৩টি চা বাগানের ১৪শ শ্রমিক ধর্মঘট প্রত্যাহার করে কাজে যোগদান করেছে। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলই ভ্যালির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাম পাইনকা বলেন, রোববার সন্ধ্যার পর কুরমা চা বাগানে এনটিসির ৫ বাগানের ব্যবস্থাপক, চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাম ভজন কৈরী, ৩টি চা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি, সম্পাদক ও মাধবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পুষ্প কুমার কানুর উপস্থিতিতে এক সমঝোতা বৈঠক হয়। এ বৈঠকে আলোচনাক্রমে ২০১৫ ও ২০১৬ সালের মাটির দেয়াল নির্মাণের জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে অপরিশোধিত বিল পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে চা শিল্পাঞ্চলে এখন কোন গ্রেচ্যুয়েটি প্রদান হচ্ছে না বলে এই ৩টি চা বাগানেও তা প্রদান করা হবে না। আর এ ৩টি চা বাগানে কোন পদ খালি হলে তখন যোগ্যতার ভিত্তিতে অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ করা ও শিক্ষানবিস নিয়োগ করা হবে।
এই সিদ্ধান্তের পর সোমবার (২২অক্টোবর)সকাল ৮টা থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ৩টি চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দেয়। ধর্মঘট প্রত্যাহার করে ৩টি চা বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগদানের সত্যতা নিশ্চিত করে কুরমা চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান বলেন, মাটির দেয়াল নির্মাণের বিল পরিশোধের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেহেতু ৩টি বাগানে কোন পদ খালি নেই তাই এখন অস্থায়ী শ্রমিক সর্দারদের স্থায়ীকরণ ও শিক্ষানবিস নিয়োগ করার সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন এসব বিষয় অবশ্যই চা বাগান পঞ্চায়েত নেতৃবৃন্দদের বুঝতে হবে।