কুলাউড়া প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল সড়কে সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার তিন মাসের মাথায় অর্ধকিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেট ধসে পড়ে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও ওই সড়কের একাধিক জায়গায় রাস্তার উভয় পাশে কার্পেটিং না করার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিডি)-এর আওতায় এ রাস্তার কাজ হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন কর্তৃপক্ষ ও জনপ্রতিনিধিদের তদারকির অভাবে এমনটা হচ্ছে।
এলাকাবাসী কাজ চলা অবস্থায় একাধিকবার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করলেও তিনি গুরুত্ব দেননি। যার কারণে কাজ শেষ হতে না হতেই এমন অবস্থা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, কুলাউড়া-ভূকশিমইল সড়কে ভূকশিমইল ইউনিয়নের প্রবেশদ্বার পালের মোড়া-কানেহাত গোগালী ছড়া ব্রিজ থেকে কানেহাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার বিভিন্ন স্থানে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দেবে গেছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংক (আইডিএ) অর্থায়নে সেকেন্ড রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইম্প্রুভমেন্ট (আরটিআইটি-২) প্রকল্পের মাধ্যমে এ কাজের দায়িত্ব পান মো. মুহিবুর রহমান এর মালিকানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম আর ট্রেডিং। এ কাজের অগ্রগতি দেখার দায়িত্বপান তদারকি কর্মকর্তা কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসতিহাক হাসান।
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু হয়। কাজ সমাপ্তের মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় ৩ মাস আগে এই অংশের কাজটি সমাপ্ত করে এ প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নতুন কার্পেটিং (পিচ ঢালাই) কাজের তিন মাস যেতে না যেতেই আচমকা মূল সড়ক থেকে প্রায় ৪-৫ ফুট জায়গা দেবে গিয়ে বিশাল ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এলাকার তরুণ ও শিক্ষিত সমাজ ব্যাপক লেখালেখি করছেন।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মুহিবুর রহমান বলেন, ফাটলকৃত জায়গায় এখনও আমরা রিপিয়ারিং করিনি। বর্ষা মৌসুম শেষ হয়েছে। এখন সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হবে।
ভুকশিমইল ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির বলেন, রিপিয়ারিংয়ের পরে বর্ষার কারনে অনেক জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এনিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের সাথে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন ভাঙনকৃত জায়গা মেয়াদের ভীতরেই রিপিয়ারিং করে দিবেন।
কাজের তদারকি কর্মকর্তা কুলাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসতিহাক হাসান বলেন, রাস্তার ফাটলের বিষয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে। তিনি এ কাজের বিল এখনো পাননি। তবে দেবে যাওয়া স্থানটি পূর্ণ মেরামত করে দিতে তিনি বাধ্য।