কুলাউড়া প্রতিনিধি:
চার বছর ধরে শেকলে বাঁধা সেই তৌফিক মিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে কুলাউড়া উপজেলা প্রশাসন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তৌফিকের বাড়িতে যান কুলাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আ স ম কামরুল ইসলাম ও উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার নুরুল মাহমুদ। শেকলে বাঁধা তৌফিকের ভাইয়ের হাতে তুলে দেন প্রতিবন্ধী ভাতার বই ও নগদ ৫ হাজার টাকা। এসময় তার পরিবারের খোজ-খবর নেন উপজেলা চেয়ারম্যান। উপজেলা পরিষদ থেকে এই অসহায় পরিবারের প্রতি সাহায্য অব্যাহত থাকবে বলেও আশ্বাস দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আব্দুল আহাদ ও এম এ কাইয়ুমসহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। ‘কুলাউড়ায় ৪ বছর থেকে শেকলে বাঁধা তৌফিক মিয়ার জীবন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সংবাদটি প্রকাশের পর দেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ তৌফিক মিয়ার চিকিৎসা ও তার অসহায় পরিবারের প্রতি আর্থিক সহযোগীতা করেছেন।
উল্লেখ্য, জয়চ-ী ইউনিয়নের দক্ষিণ গিয়াসনগর এলাকার বাসিন্দা প্রয়াত ক্বারী রমিজ উদ্দিন ওরফে ‘রমিজ ক্বারীর ছেলে তৌফিক মিয়া। ৪ বছর আগে পিতা মারা যাবার পর তৌফিক মিয়া পুরোপুরি পাগল হয়ে যান। নিজের সামর্থ্য ও পাশর্^বর্তীদের সাহায্যে ছোট ভাইকে অনেক ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়েছেন বড় ভাই মশাহিদ আলী। কিন্তু টাকার অভাবে ভালো চিকিৎসা করে ভাইকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি। আশপাশ মানুষের ক্ষতি করতে পারে এই আশঙ্কায় তাকে শিকলবন্দি করে ঘরে রেখেছেন।
শেকলে বাঁধা তৌফিক মিয়ার ফেল ফেল চাহনি যেন সুস্থ হয়ে উঠার একটা করুণ আকুতি। দু’মুটো অন্ন নাকি চিকিৎসার সংস্থান করবেন মশাহিদ। হাতাশা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাকে। সমাজের বিত্তবানরা একটু সুনজর দিলে আস্থাকুড়ে থেকে উঠতে পারে পরিবারটি। মহৎপ্রাণ কোন সুহৃদ অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাইলে (০১৭২৮-৯৯৬৪০১- বিকাশ, পার্সোনাল) এই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন।
সেই শেকলে বাঁধা তৌফিকের পাশে উপজেলা প্রশাসন
