ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
হাকালুকি হাওর পাড়ের মাহফুজা জান্নাত মিমি। ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষর ফলাফলে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে সে। ডাক্তার হয়ে হাওরপারের মানুষের জীবন পাল্টে দেয়ার স্বপ্ন নিয়েই তার এপর্যন্ত আগানো। লেখাপড়ায় প্রবল একাগ্রতা ও মনযোগ ধাপে ধাপে তাকে সফলতার স্বর্ণ শিকড়ে পৌঁছে দিচ্ছে।
নানা প্রতিকূলতার সাথে নিরন্তর সংগ্রাম করেও জীবনে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছে মাহফুজা জান্নাত মিমি। ভাল ফলাফলে দুচোখ ভরা উচ্ছ্বাস থাকলেও মেডিকেল ভর্তি ও লেখাপড়ার ব্যয় নিয়ে দুশ্চিন্তাও প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফিরছে তার পরিবারকে।
ভবিষৎতে আরো ভালো ফলাফল করে দেশ গড়ার কাজে অংশীদার হতে চায় মিমি। কিন্তু আর্থিক সংকটে বার বার হোঁচট খেতে হচ্ছে তাকে। অনেক কষ্টে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে মেধাবী মিমি।
পিএসসি ও জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এপ্লাস পেয়ে উত্তির্ণ এ মেধাবী শিক্ষার্থী ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায়। শিক্ষক, বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন, সহপাঠী, আর শুভাকাঙ্খীদের সহমর্মিতা ও পরামর্শ তার সাফল্যের পেছনে প্রেরণার বাতিঘর হিসাবে ভূমিকা রেখেছে।
মাহফুজা জান্নাত মিমি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০১৯ সালে এসএসসি এবং সিলেট এমসি কলেজ থেকে ২০২১ সালে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তির্ণ হয়। বাবা মইন উদ্দিন দুবাই প্রবাসী। মা অফিয়া বেগম গৃহীনি। ২ বোন ও ১ ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরের দক্ষিণ পাশের কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল ইউনিয়নের বাদে ভুকশিমইল গ্রামে মাহফুজা জান্নাত মিমি’র বাড়ি।
নানা প্রতিকূলতা ও বৈরি পরিবেশের মধ্যেও প্রভল ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মাহফুজা তার এ সাফল্য অর্জন করেছে। সে লেখাপড়া করে ডাক্তার হয়ে হাকালুকি হাওর পারের অবহেলিত মানুষের জীবনমানের এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়।