ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারে দীর্ঘ ১ বছর ধরে সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে ৮টি দোকান। শহরের শ্রীমঙ্গল রোডের ঢাকা বাসস্ট্যান্ড ও কোদালীপুলের মধ্যবর্তী স্থানে এক সড়ক দূর্ঘটনায় ওই দোকানগুলোর সাথে সড়কের সংযোগ স্থাপনকারী ফুটপাত কাম ড্রেনের স্লাব ভেঙ্গে যাবার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ফলে, ওই ৮টি দোকানের ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে উঠেছে গত একবছর যাবৎ। কিন্তু, এ অচলাবস্থার সুরাহা হচ্ছেনা আজও। ৩০ জুন ২০২০ সালে মালবোঝাই একটি আন্তঃজেলা ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দোকানগুলোর সাথে সড়কের সংযোগ স্থাপনকারী ফুটপাত কাম ড্রেনের উপর পড়ে গেলে ড্রেনের উপরের স্লাব ভেঙ্গে যায়। এাতে পার্শ্ববর্তী ১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর সপ্তাহখানেক পর ট্রাকমালিক ট্রাকটি উদ্ধার করে নেয়ার সময় ড্রেনের উপরের স্লাব ভাঙ্গার জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করেন বলে জানা গেছে। অতঃপর আগষ্ট মাসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত স্থানটি সংস্কারের নামে অবরুদ্ধ দোকানসহ ৮টি দোকানের সম্মুখভাগের পুরো ড্রেন ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নেয়। এ লক্ষ্যে ঘটনাস্থলে বালু এবং ইট-পাথরও আনা হয়। কিন্তু, দু’সপ্তাহের মাথায় রাতের অন্ধকারে সেই বালু এবং ইট-পাথর সরিয়ে নেয়া হয় রহস্যজনকভাবে। এমতাবস্থায় ওই ৮টি দোকান মূল সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে দীর্ঘ ১ বছর যাবৎ। দোকানগুলোর ব্যবসায়ীরা বলেছেন- গত একবছর যাবৎ তাদের ব্যবসাপাতি লাটে উঠেছে। ওই ৮টি দোকান সম্বলিত বাণিজ্যিক ভবনটির অন্যতম মালিক আব্দুল বাছিত তরফদার জানান- সড়ক দূর্ঘটনায় মাত্র ১টি দোকানের সম্মুখভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কিন্তু, সংস্কারের নামে বাকী ৭টি দোকানকে শুধু ক্ষতিগ্রস্তই করা হয়নি, অধিকন্তু পুরো অবকাঠামোকে হুমকীগ্রস্থ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জিয়া উদ্দিন বলেন- এটি তার দায়িত্ব গ্রহণের ৬ মাস আগের ঘটনা। ওই সময়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে অষ্পষ্টতা আছে। বর্তমানে বরাদ্দের অভাবে সংস্কার কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। বরাদ্দ নিশ্চিত হলে দ্রুতগতিতে সংস্কার কাজ করা হবে। তিনি জানান- ক্ষতিপূরণের টাকা সড়ক ও জনপথ বিভাগ গ্রহণ করেনি। এতেকরে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ট্রাক মালিকের দেয়া ক্ষতিপূরণের টাকা তাহলে মেরে দিলেন কে ?
মৌলভীবাজারে ১ বছর ধরে সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন ৮টি দোকান





















