ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারে মাদকদ্রব্য সেবন করে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী বহিষ্কৃত ছাত্রফ্রন্ট নেতা তুষার ও তার সহযোগী নারী নেত্রী মার্জিয়া প্রভা ১৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি। জেলার সচেতন মহল বলছেন, পুলিশের সৎ ইচ্ছার অভাবে আসামীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাহিরে। এদিকে মামলার দুই নম্বর আসামী রায়হান আনসারী ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে ৭ সেপ্টেম্বর আদালত রায়হান আনসারীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই তাপস রায় রায়হান আনসারীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম কাজী বাহাউদ্দিন শুনানি শেষে সোমবার ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই তাপস রায় জানান, রায়হান আনসারী ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে ১ দিনের জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, রাতে আড্ডা শেষে মাহমুদ গাঁজা বের করে। তবে আমরা সবাই গাঁজা সেবনে অভ্যস্ত না থাকায় খুব বেশি খেতে পারিনি। রাত ১টার দিকে আমি, মাহমুদ ও মার্জিয়া প্রভা এক রুমে ঘুমাই। তুষার ও মামলার বাদী এক সাঙ্গে অপর রুমে ঘুমান। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খেয়ে চলে যাই।
এদিকে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করতে মামলার প্রধান স্বাক্ষী সাংবাদিক মাহমুদ এইচ খানকে গ্রেফতারের দাবি করছেন স্থানীয়রা। সাংবাদিক মাহমুদের বাসায় ঘটনা ঘটার পরেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ বলছে, প্রধান আসামী সহ বাকীদের গ্রেফতার করতে তাদের অভিযান অব্যাহত আছে। খুব কম সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার শহরতলির সোনাপুর গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় ৩ আগস্ট রাতে ডিনার পার্টির আয়োজন করেন মার্জিয়া প্রভা নামের এক নারী নেত্রী। সেখানে অংশ নেওয়া কলেজছাত্রী গাঁজা সেবনের ফলে স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেললে ছাত্রফ্রন্ট নেতা তুষার তাকে উঠিয়ে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। গত ২৫ আগস্ট বাসার ভাড়াটিয়া মাহমুদ এইচ খান ফেসবুকে এ সম্পর্কিত একটি স্ট্যাটাস দিলে ধর্ষণের ঘটনা জনসম্মুখে আসে। এরপর ভিকটিম ৩১ আগস্ট বিকেলে মৌলভীবাজার মডেল থানায় উপস্থিত হয়ে ধর্ষকসহ চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন। নারী নির্যাতন মামলায় তুষারকে প্রধান আসামি এবং রায়হান আনছারী ও মার্জিয়া প্রভাকে আসামি করা হয়।