ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নতুন বাজারে পূর্বশত্রুতার জেরে মীর ভেরাইটিজ ষ্টোরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীর দাবি হামলাকারীরা দোকান থেকে নগদ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত কাদেরীয়া ফিসারীজের সত্ত্বাধিকারী মুকিত মিয়ার সাথে ইউপি সদস্য শামীম মিয়ার বিরোধ চলছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে শামীম তার লোকদের দিয়ে কাদেরীয়া ফিসারীজের সত্ত্বাধিকারী মুকিত মিয়া’র বিরুদ্ধে এলাকায় মানববন্ধন সহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। এ সকল আন্দোলনে ব্যসায়ী মীর মিজানকে শামীম মিয়ার সাথে থাকার কথা বলা হয়। কিন্তু মিজান থাকেননি। যার প্রেক্ষিতে ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম তার লোক দিয়ে এ হামলা করান।
ঘটনাস্থলের পাশর্^বর্তী ব্যবসায়ী কুকন মিয়া বলেন, শাহ আলম মিজানকে দৌঁড়িয়ে নিয়ে আসলে তিনি আমার দোকানের সামনে রাখা ডিমের উপর পড়ে যান। এতে আমার সকল ডিম ভেঙে যায়। তাদের হামলায় মিজানের দোকানেও অনেক ভাঙচুর ও ক্ষতি হয়েছে।
মীর ভেরাইটিজ ষ্টোরের পরিচালক মীর মিজান জানান, উপজেলার গিয়াসনগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শামীম আহমদের ইশারায় এ হামলা হয়েছে। শামীম বাহিনীর সদস্যরা দেশিই অস্ত্রসহ দোকানে হামলা ও মারধর করে এবং দোকানের মালামাল ভাঙচুর করে নগদ ৮৫ হজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, হামলার পরিকল্পনা করতে মঙ্গলবার রাতে শামীমের সহযোগী কামালের বাড়িতে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে আব্দুল্লাহ মিয়া ও ফিরোজ মিয়াকে আমার বাড়িতে পাঠিয়ে তাদের সাথে থাকার প্রস্তাব দেন। অন্যতায় পঞ্চায়েতের বাদ করে দেয়ার ভয় দেখান তারা।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শামীম আহমদ বলেন, কিছু দিন যাবত তাদের সাথে আমার দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনার সাথে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এসময় আমি বাজারেও ছিলাম না। আমার মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে পরিকল্পিতভাবে অন্যজনের ইশারায় তারা এ অভিযোগ তুলছেন। এদিকে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করতে কয়েকজন মুরব্বিদের তাদের কাছে পাঠালে তারা রাজি হয়ননি।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা মৌলভীবাজার মডেল থানার এসআই আলমগীর হোসেন বলেন, ওই এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবত একটি ঝামেলা চলে আসছে। ইউপি সদস্য শামীম আহমদ তার অনুসারীদের নিয়ে সম্প্রতি কাদেরীয়া ফিসারীজের মালিক মুকিত মিয়ার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন। মীর মিজান শামীম মিয়ার সাথে না থাকায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে তার লোক দিয়ে হামলা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে টাকা লুটপাঠের সত্যতা পাওয়া যায়নি।
Post Views:
0