ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে মৌলভীবাজারে পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এনিয়ে যাত্রী ও গাড়ি’র শ্রমিকদের মধ্যে প্রতিনিয়ত বাকবিতন্ডা হচ্ছে। কোথাও কোথাও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে। যাত্রীদের অভিযোগ করোনা ভাইরাসের অযুহাতে পরিবহন শ্রমিকরা এমন কান্ড করছেনি।
জানা যায়, সরকারী নির্দেশনা ছিল করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এড়াতে দুজন যাত্রী পাশাপাশি বসতে পারবেনা। একজনকেই দুটি সীটের ভাড়া বহন করতে হবে। কিন্তু পরিবহন শ্রমিকরা এই নির্দেশনা মানছেন না। তারা প্রতিটি সীটে যাত্রী বসাচ্ছে আবার তাদের কাছ থেকে দিগুন ভাড়াও আদায় করছে। এনিয়ে প্রতিদিন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে।
কুলাউড়া থেকে রাজনগর হয়ে সিলেটগামী বাসের যাত্রী এমদাদুল হক বলেন, বাসের প্রতিটি সীটে যাত্রী বসানো হয়েছে। অনেক যাত্রীকে দাঁড় করিয়ে নেয়া হচ্ছে। ভাড়াও ৯০ টাকার জায়গায় ১’শ ৩০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। এদিকে মৌলভীবাজার থেকে সিলেটগামী হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসও যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে জেলার সিএনজি ও টমটম শ্রমিকরা আর বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। প্রতিদিনিই যাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করছেন। চালককে ভাড়া বেশি আদায় এর কথা জিজ্ঞাসা করিলে উত্তরে বলেন শারীরিক দূরত্ব ও পুলিশ আমাদেরকে ভাড়া আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু এর কিছুই মানা হচ্ছে না।
সরজমিনে দেখা যায়, যেখানে করোনাকালীন সময় মানুষের রোজগারের কোনো ব্যবস্থা নেই সেখানে সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। কমলগঞ্জ ও শমসেরনগর থেকে যাত্রীদের মৌলভীবাজার সদরে আসতে হলে একশত টাকা ভাড়া দিতে হয়। মুন্সিবাজার থেকে মৌলভীবাজার সদরে আসতে পঞ্চাশ টাকা দিতে হচ্ছে। মৌলভীবাজার সদরে যেখানে টমটম ভাড়া ছিল পাঁচ টাকা সেখানে নেয়া হচ্ছে দশটাকা। প্রতিটি রোডে দিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
জেলা পুলিশ বিভাগ বলছে, সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে কেউ বেশি ভাড়া আদায় করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Post Views:
0